Advertisement
E-Paper

ভোটের জন্য প্রচারে প্রশাসনের ‘থিম-সং’

ভোট নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ‘থিম সং’ তৈরি করল নদিয়া জেলা প্রশাসন। জেলার সর্বস্তরের মানুষকে ভোট দানে উৎসাহিত করতে এই গানটির প্রকাশ করা হল। সঙ্গে ভিডিও। এই ভিডিও চালানো হবে রাস্তার মোড়ে, ব্লক অফিসে ও থানায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৬ ০৩:০০
ভোটের গান। কৃষ্ণগর পোস্ট অফিস মোড়ে।- নিজস্ব চিত্র।

ভোটের গান। কৃষ্ণগর পোস্ট অফিস মোড়ে।- নিজস্ব চিত্র।

ভোট নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ‘থিম সং’ তৈরি করল নদিয়া জেলা প্রশাসন। জেলার সর্বস্তরের মানুষকে ভোট দানে উৎসাহিত করতে এই গানটির প্রকাশ করা হল। সঙ্গে ভিডিও। এই ভিডিও চালানো হবে রাস্তার মোড়ে, ব্লক অফিসে ও থানায়।

শুক্রবার কৃষ্ণনগরের পোস্ট অফিস মোড়ে এই ভিডিওটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা শাসক বিজয় ভারতী। তিনি বলেন, ‘‘ভোটারদের উৎসাহিত করতে আমরা বিভিন্ন পদ্ধতি বেছে নিয়েছি। তার মধ্যে এই গান ও ভিডিও অন্যতম প্রধান মাধ্যম। কারণ মানুষের মনকে ছুঁয়ে যাওয়ার জন্য গানের কোনও বিকল্প নেই।’’

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মার্চ মাসের গোড়াতেই জেলার প্রশাসনের কর্তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, গানের মাধ্যমে ভোটারদের সচেতন করা হবে। সেই মতো তাঁরা কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। যদিও প্রশাসনের তরফে কয়েকজনকে গান লেখার কথা বলা হয়। শেষ পর্যন্ত রত্নদীপ দাসের গানই প্রশাসনের পছন্দ হয়। তাঁর উপরেই গান লেখার পাশাপাশি সুর ও মিউজিক কম্পোজিশনের দায়িত্ব দেয় ওই সংস্থা।

২১ মার্চ নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে অনুমোদন পাওয়ার পরের দিনই সেই গানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। সেই গানের ভিডিও আবার পাঠানো হয় নির্বাচন কমিশনের কাছে। শুক্রবার সেটাই চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পরে সন্ধ্যাতেই আনুষ্ঠানির উদ্বোধন করলেন জেলাশাসক। এর মধ্যে অবশ্য বেশ কয়েকটি শব্দ ও লাইনের পরিবর্তন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল ‘প্রতারক’ শব্দ।

জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, ‘‘আমরা প্রথম থেকেই চেয়েছি গানটা এমন ভাবে তৈরি করতে যাতে কোনও রকম বিতর্ক না হয়। কারণ আমাদের প্রথম ও এক মাত্র উদ্দেশ্য হল মানুষকে ভোটদানে উৎসাহিত করা। তাছাড়া সব সময় আমাদের নজর রাখতে হয়েছে যাতে গানের ভিতরে এমন কিছু না থাকে যার জন্য নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন পেতে সমস্যা তৈরি হয়। আর সেটা করতে গিয়েই আমাদের কথা বা সুরের কোথাও কোথাও একটু আধটু পরিবর্তন করতে হয়েছে।’’

গীতিরার-সুরকার রত্নদীপ দাস বলেন, ‘‘আমাদের প্রথম থেকেই বলে দেওয়া হয়েছিল যে, গানে যেন কোন বিতর্কিত কিছু না থাকে। তাতে নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন পেতে সমস্যা হবে। সেই মতোই আমরা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে কিছু কিছু জায়গায় বদল করেছি। আর সবটাই হয়েছে মার্চ মাসের প্রথম দিকেই। তারপর থেকেই আমরা পুরোদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিই। তবে আমাদের এই পরিশ্রম তখনই সফল হবে যখন সব মানুষ ভোট দিতে আসবেন।’’

গান গেয়েছেন রত্নদীপ দাস, অভ্রতনু ঘোষ, সুমেধা মোদক ও বর্ণিনী ঘোষ। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে শ্যুটিং করে গোটা জেলাটাকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে এই সংস্থা। গোটা পরিকল্পনাটির আয়োজক সুজয় সিংহ রায়ের কথায়, ‘‘বিষয়টি কিন্তু একেবারেই সহজ ছিল না। কারণ আমাদের প্রথমেই মাথায় রাখতে হয়েছিল সম্পূর্ণ বিতর্কহীন ভবে কত সহজ সরল ভাষায় মানুষকে ভোট দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করা যায়। তবে শেষ পর্যন্ত আমরা সেটা করতে পেরে খুশি।’’

Assembly Election 2016
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy