নদিয়ার হাঁসখালি গণধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় মোট ৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। দোষীদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল নেতার পুত্রও। মঙ্গলবার তাঁদের শাস্তি ঘোষণা করবেন বিচারক।
নদিয়ার রানাঘাট পুলিশ জেলার হাঁসখালি থানা এলাকায় ২০২২ সালের ১০ এপ্রিল গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। জানানো হয়, ৫ এপ্রিল স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের পুত্রের জন্মদিনের পার্টিতে নিমন্ত্রিত নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। পঞ্চায়েত সদস্যের পুত্র এবং তাঁর কয়েক জন বন্ধু মিলে নাবালিকাকে গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। শুধু তা-ই নয়, রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছিল নির্যাতিতাকে। পরে তার মৃত্যু হলে প্রমাণ লোপাটের জন্য তাড়াতাড়ি দেহ সৎকার করা হয়। এই ঘটনা রাজ্য জুড়ে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল। নির্যাতিতার মা-বাবা হাঁসখালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পরে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে মামলা করেন হাই কোর্টে। সেখান থেকে ঘটনার তদন্তের ভার দেওয়া হয় সিবিআইকে। নির্যাতিতার পরিবারের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পুলিশকে নির্দেশ দেয় আদালত। ঘটনাক্রমে সিবিআই চার্জশিট দেয়। সেই মামলায় ৯ জনকে দোষী সাবস্ত করল রানাঘাট মহকুমা আদালত।
দোষীদের মধ্যে কয়েক জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির পাশাপাশি পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছিল। দোষীদের নাম সোহেল গয়ালি, প্রভাকর পোদ্দার, রঞ্জিত মল্লিক, সুরজিৎ রায়, আকাশ বারুই, সমরেন্দ্র গয়ালি, দীপ্ত গয়ালি, পীযূষকান্তি ভক্ত এবং অংশুমান বাগচী।
আরও পড়ুন:
আদালত সূত্রে খবর, সোহেল, প্রভাকর এবং রঞ্জিত ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি, ৩৪, ২০১, ৫০৬, ৩০৪ (২), ৩৭৬ ধারায় অভিযুক্ত। সেই সঙ্গে পকসো আইনের ৬ ধারায় মামলা হয়েছিল। সুরজিৎ এবং আকাশের বিরুদ্ধে ১২০বি, ৩৪, ৫০৬, ১২০বি এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু হয়। সমরেন্দ্র, দীপ্ত এবং পীযূষকান্তি ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬, ২০১, ১২০বি এবং ৩৪ ধারায় অভিযুক্ত। অংশুমানের বিরুদ্ধে ১২০বি, ৩৪ এবং ২০১ ধারায় মামলা দায়ের হয়।