Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Murshidabad

ছেলেরা স্বপ্নাদেশ পেয়েছেন! নিখোঁজ হওয়ার ২৩ বছর পর শেষকৃত্য নদিয়ার যুবকের

নিখোঁজ হওয়ার ২৩ বছর পর ‘স্বপ্নাদেশ’ পেয়ে সেই যুবকের শেষকৃত্য সম্পন্ন করল পরিবার!

নিখোঁজ হওয়ার ২৩ বছর পর ‘স্বপ্নাদেশ’ পেয়ে সেই যুবকের শেষকৃত্য সম্পন্ন করল পরিবার!

নিখোঁজ হওয়ার ২৩ বছর পর ‘স্বপ্নাদেশ’ পেয়ে সেই যুবকের শেষকৃত্য সম্পন্ন করল পরিবার! নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
নাকাশিপাড়া শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২৩ ২২:২৫
Share: Save:

গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল ট্রলার। সেই থেকে আর খোঁজ মেলেনি যুবকের। নিখোঁজ হওয়ার ২৩ বছর পর ‘স্বপ্নাদেশ’ পেয়ে সেই যুবকের শেষকৃত্য সম্পন্ন করল পরিবার! নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানার যুগপুর ঢাকা কলোনি এলাকার ঘটনা। ২০০০ সালে নিখোঁজ হওয়া বিমল দাসের শেষকৃত্য এত দিন পর হতে দেখে বাড়িতে ভিড় বাড়ান কৌতূহলী গ্রামবাসীরা!

পরিবার সূত্রে খবর, ২০০০ সালের নভেম্বর মাসে সুন্দরবনের কাকদ্বীপে ট্রলারে করে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন বিমল। তাঁর সঙ্গে আরও চার জন ছিলেন। তাঁরা সময় মতো বাড়ি ফিরলেও বিমল ফেরেননি। সঙ্গীদের দাবি ছিল, বেশি রোজগারের লোভে অন্য একটি দলের সঙ্গে মাছ ধরতে চলে গিয়েছিলেন বিমল। তার পর থেকে আর খোঁজ মেলেনি। মৎস্যজীবী সংগঠনের কাছে বার বার দরবার করেও ছেলের সম্পর্কে কোনও তথ্যই পাননি বিমলের বাবা। পরে স্ত্রী দুলালী দাস বিমলের শেষকৃত্য করতে বলায় তাঁকেও বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি বিমলের তিন ছেলে বা়ড়িতে দাবি করেন, তাঁরা বাবাকে স্বপ্নে দেখেছেন। বাবাই তাঁদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে বলেছেন। বিমলের ছেলে অভিজিৎ দাস বলেন, ‘‘স্বপ্নে দেখলাম বাবা এসে বলছেন শ্রাদ্ধ করতে। ২৩ বছর ধরে বাবা নিখোঁজ। বেঁচে থাকলে নিশ্চয়ই এত দিনে ফিরে আসতেন।’’

দুলালীও বলেন, ‘‘আমাকে কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেয় না। ছেলেদেরও ঠাকুর ঘরে উঠতে দেয় না। সবাই বলে আমাদের নাকি অশৌচ চলছে! ওদের বাবা স্বপ্নে বারবার বলছিল। তাই শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Murshidabad
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE