Advertisement
E-Paper

শিল্যানাসের পরও আজও খুলল না পার্কের দরজা

সকাল-বিকেলে এলাকার লোকজনের একটু হাঁটাহাটি বা বসার জায়গা ছিল না। সেই অভাবে দূর করতে বছর দু’য়েক আগে লালগোলা ব্লক কার্যালয় সংলগ্ন রানিপুকুর সংস্কার শুরু হয়। করা হয়। ওই পুকুর ঘিরে পার্ক তৈরির এলাকার সাংসদ কংগ্রেসের অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে প্রায় ২৫ লাখ টাকা দেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৬ ০১:৪৪
কবে খুলবে দরজা? — নিজস্ব চিত্র

কবে খুলবে দরজা? — নিজস্ব চিত্র

সকাল-বিকেলে এলাকার লোকজনের একটু হাঁটাহাটি বা বসার জায়গা ছিল না। সেই অভাবে দূর করতে বছর দু’য়েক আগে লালগোলা ব্লক কার্যালয় সংলগ্ন রানিপুকুর সংস্কার শুরু হয়। করা হয়। ওই পুকুর ঘিরে পার্ক তৈরির এলাকার সাংসদ কংগ্রেসের অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে প্রায় ২৫ লাখ টাকা দেন। দ্বিতীয় দফায় অভিজিতবাবু ওই পার্ক গড়তে আরও ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেন। ওই পার্কের শিলান্যাসেও করেন তিনি। কিন্তু ওই পর্যন্তই। শিলান্যাসের পর কংগ্রেস পরিচালিত লালগোলা পঞ্চায়েত সমিতি আজও পার্কের কাজই শুরু করতে পারেনি। শিলাতে আংশিক শ্যাওলা পড়ে গিয়েছে। তবুও পার্ক তৈরির ব্যাপারে পঞ্চায়েত সমিতির নড়েচড়ে বসার কোনও লক্ষণই নেই। তালাবন্দি ওই পার্ক দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলছেন এলাকার মানুষ।

প্রাচীন শহর লালগোলার সিংহভাগ সম্পত্তির একদা মালিক ছিলেন মহারাজা যোগীন্দ্রনারায়ণ রায়। ব্লক কার্যালয়ের সামনে রয়েছে বিঘা পাঁচেকের রানি পুকুর। পুকুর পাড় লাগোয়া জমি রয়েছে আরও বিঘা তিনেক। ওই জমির মালিকানা নিয়ে বেশ কয়েক বছর আগে সরকারের সঙ্গে রাজ পরিবারের উত্তরাধিকারীদের বিবাদ বাধে। বিবাদ গড়ায় আদালত পর্যন্ত। আদালতের রায়ে ওই পুকুর ও জমির মালিকানা পায় সরকার। শহরের মানুষজনের পক্ষ থেকে দাবি ওঠে, ওই পুকুর ও জমিতে গড়ে তোলা হোক শিশু উদ্যান। পুকুরে বোটিং-এর ব্যবস্থাও করা হোক। সেই দাবি মেনে বছর তিনেক আগে লালগোলা পঞ্চায়েত সমিতির তরফে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প থেকে পুকুর সংস্কার করা হয়। পুকুর পাড় ও লাগোয়া এলাকায় ঘাস লাগোনার জন্য মাটি ফেলা হয়। লালগোলা পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি সুজাউদ্দিন বলেন, ‘‘ওই কাজ করতে পঞ্চায়েত সমিতির ১২ লক্ষ টাকা খরচ হয়।’’ এরপর প্রস্তাবিত পার্কের চারিদিকে পাঁচিল তুলতে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে ২৫ লক্ষ টাকা দেন। পাঁচিল তোলার পর ২০১৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ঘটা করে সেখানে শিলান্যাস করা হয়। শিলান্যাস করেন অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। ওই অনুষ্ঠানে বলা হয়, রানিপুকুরে বোটিং চালু হবে, পার্কে ঘুরে বেড়াবে খরগোস, থাকবে শিশুদের জন্য দোলনা, সুড়সুড়ি খেলার জন্য স্লাইডিং ওয়াল, বসার জন্য থাকবে দৃষ্টিনন্দন চেয়ার ও বেঞ্চ। কিন্তু সে সব স্বপ্নই থেকে গেল। আজও খুলল না পার্কের দরজা। আর এতেই ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। কংগ্রেসের দখলে থাকা বাহাদুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান যদু ঘোষও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘পার্ক নিয়ে আমজনতার মধ্যে ওঠা প্রশ্নের উত্তর দিতে হচ্ছে আমাদের। পার্ক পুকুর জনগনের উদ্দেশ্যে খুলে না দেওয়া পর্যন্ত প্রশ্ন উঠবেই।’’ পার্কের কাজ কেন শেষ হল না? সহ সভাপতি সুজাউদ্দিন বলেন, ‘‘প্রশাসনিক ঢিলেমির জন্য সাংসদ তহবিলের টাকা হাতে পায়নি। অর্থ-জট কাটলেই পার্কটি সাজানো হবে।’’ সেই প্রত্যাশায় দিন গুনছেন লালগোলা, বাহাদুরপুর ও বিল বোরাকোপরা মিলে লাগোয়া মোট ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার লোকজন।

park foundation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy