Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Independence Day

মালা কেন গাঁধীর গলায়, হামলা স্কুলে

অভিযোগ, শনিবার স্বাধীনতা দিবসের দিনে ৫১ নম্বর হাসিমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও অন্যরা গাঁধীর মূর্তিতে মাল্যদানের পরে কিছু ব্যক্তি এসে দাবি করেন, গাঁধীর মূর্তিতে মালা দিলে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কেও সম্মান জানাতে হবে।

ভাঙচুরের পরে। নিজস্ব চিত্র

ভাঙচুরের পরে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শমসেরগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২০ ০৩:৫০
Share: Save:

স্বাধীনতা দিবসে মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর মূর্তিতে মাল্যদান করায় স্কুলে তাণ্ডব ও প্ৰধানশিক্ষককে হেনস্থার অভিযোগ উঠল বিজেপিকর্মীদের বিরুদ্ধে। বিজেপি অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

অভিযোগ, শনিবার স্বাধীনতা দিবসের দিনে ৫১ নম্বর হাসিমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও অন্যরা গাঁধীর মূর্তিতে মাল্যদানের পরে কিছু ব্যক্তি এসে দাবি করেন, গাঁধীর মূর্তিতে মালা দিলে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কেও সম্মান জানাতে হবে। তাই নিয়ে গোলমালের সূচনা। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন প্ৰধান শিক্ষক। অভিযোগ, তাঁকে হেনস্থাও করা হয়। ভাঙচুর করা হয় চেয়ার টেবিল। প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষক শিক্ষিকারা। তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সেলের জেলা কমিটির সদস্য আবু বারকাত শাহ আলম বলেন, ‘‘গাঁধীর মূর্তিতে মাল্যদান করায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা প্ৰধান শিক্ষককে হেনস্থা করেছে ও স্কুলে তাণ্ডব চালিয়েছে। ভারতবাসী হয়ে তাদের আচরণে লজ্জিত। আমরা অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’’

যদিও বিজেপির উত্তর মুর্শিদাবাদ জেলা সহ সভাপতি মিলন ঘোষের দাবি, ‘‘সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ। ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কেউ জড়িত নন। বিজেপিকে কালিমালিপ্ত করতে এধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে।’’ শ্যামাপ্রসাদকে সম্মান জানানোর দাবির প্রসঙ্গে মিলনবাবুর দাবি, ‘‘শ্যামাপ্রসাদ আলাদা জায়গায়, গাঁধী আলাদা জায়গায়। তাই ওই স্কুলে গিয়ে কারা এই সব দাবি তুলেছিল, তা জানি না, সমর্থনও করি না।’’ তাঁর দাবি, ‘‘স্কুলে তাণ্ডব, আমরা কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারি না।’’ তিনি বলেন, ‘‘আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি, ওই দিন কয়েক জন মত্ত অবস্থায় শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে, যা বিজেপি কোনও দিন সমর্থন করে না। যারা ছিল তাদের শাস্তি হোক আমরাও চাই।’’ তিনি ঘটনার পিছনে তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকেই অঙ্গুলি তোলেন। তবে ঘটনায় শমসেরগঞ্জ জুড়ে ঝড় উঠেছে। ধুলিয়ানের প্রবীন শিক্ষক মোদ্দাসার হোসেন বলেন, ‘‘যারা এ কাজ করেছে তাদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

হাসিমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্ৰধান শিক্ষক একান্ত হালদার বলেন, ‘‘আমার উপর হেনস্থা ও ভাঙচুরের ঘটনায় চার জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। আমরা ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি চাই।’’ পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Independence Day BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE