প্রতীকী ছবি।
শীত পড়তেই মাটি কাটির রমরমা ব্যবসা শুরু হয়েছে কালীগঞ্জে। নানা ইটভাটার জন্য এই সময়ে সরকারি নিয়ম মেনেই মাটি কাটা ও সরবরাহ করার ব্যবসা করেন অনেকে। তবে সেই সুযোগে কিছু অসাধু ট্রাক্টর মালিক অবৈধ ভাবে মাটি কাটাছে বলে অভিযোগ উঠছে। সিপিএম প্রভাবিত কৃষক সভা কালীগঞ্জের বিডিও এবং ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের কাছে এই নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেরই অভিযোগ, গ্রামে সারা দিন গাড়ির আয়োজ শোনা না গেলেও রাত বাড়তেই ট্রক্টরের আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায়। সন্ধ্যা থেকেই গ্রামের রাস্তা দিয়ে ট্রক্টর যাতায়াত শুরু হয়। স্থানীয় চাপাই গ্রামে পলাশি সুগার মিলের জমি থেকে মাটি কেটে রাতারাতি পৌছে দেওযা হচ্ছে নানা ইটভাঁটায়। এটা এখন রোজকার ছবি। কালীগঞ্জ এলাকায় ইটভাটার সংখ্যা কম নয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, এই সব ইটভাটা তো বটেই, গৃহ নির্মাণের জন্যও মাটি চুরি করে বিক্রি করছে কিছু ট্রাক্টর মালিক। কথনও ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, আবার কখনও বেড়ে ৭০০ টাকা দরে প্রতি ট্রাক্টর মাটি বিক্রি হচ্ছে। কী ভাবে পলাশি সুগার মিলের জমি থেকে এ ভাবে মাটি কাটা হচ্ছে, সেই প্রশ্নও উঠছে।
স্থানীয়দের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, গ্রামের কয়েক জন ওই সব অসাধু মাটি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন। তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। কৃষক সভার নদিয়া জেলা কমিটির সহ-সম্পাদক জিন্নাত আলি বলেন, “সকলের চোখের সামনে দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। এর পিছন কে বা কারা আছে তা আমরা জানি। তাদের ভয়েই প্রশাসন চুপ করে রয়েছে। চাষের জমি থেকে এই ভাবে মাটি কেটে নেওয়া হতে থাকলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।’’
কালীগঞ্জ থানার দাবি, গত সপ্তাহে পাঁচটি গাড়ি মাটি আটক করে মামলা রুজু করা হয়েছে। কালীগঞ্জের বিডিও উৎপল দাস মুহুরি বলেন, “এটা ভূমি দফতরের দেখার বিষয়।” ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক শুভ্রাংশু চট্টোপাধ্যায়কে বারবার ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy