Advertisement
E-Paper

রোগী ‘ধরার’ প্রতিযোগিতা, অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে অভিযোগ

ডোমকলের বাসিন্দা হরেক মণ্ডল বলেন, “রাতের বেলা বিনা পয়সার  গাড়ির চালক পেতে হয়রান হতে হয় খুব।”

বিদ্যুৎ মৈত্র

শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৫:২০
—ফাইল চিত্র

—ফাইল চিত্র

মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা নিয়ে রোগীর আত্মীয়দের পাশাপাশি চালকদের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে সরগরম থাকে হাসপাতাল চত্বর। আর তার খেসারত দিতে হয় রোগীপক্ষকে। সরকারি হিসাবে ৩৫০ টি নিশ্চয়যান ও একশটি ১০২ টোল ফ্রী গাড়ির পাশাপাশি হাসপাতাল চত্বরেই সহাবস্থান একশোটি বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্সেরও। নিয়ম মতো নিশ্চয়যান ও ১০২ গাড়ির চালকেরা বিনা মূল্যে রোগীকে পরিষেবা দেবেন। আর তার জন্য যা খরচ হবে তা বহন করবে সরকার। কিন্তু অভিযোগ, হাসপাতাল নিয়ন্ত্রিত ওই দুই গাড়ির চালকেরা নিজেদের অতিরিক্ত আয়ের জন্য রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেন। আর চালকদের রেশারেশির ফল ভোগ করতে হয় রোগীর বাড়ির লোকজনকে।

ডোমকলের বাসিন্দা হরেক মণ্ডল বলেন, “রাতের বেলা বিনা পয়সার গাড়ির চালক পেতে হয়রান হতে হয় খুব।” পাবলিক অ্যাম্বুল্যান্স ইউনিয়নের সম্পাদক খোকন চৌধুরীর অভিযোগ, “১০২ এর অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের ০-১ বছরের মধ্যে শিশু ও মায়েদের বিনা মূল্যে পরিষেবা দেওয়ার কথা। কিন্তু সেই পরিষেবা রোগীরা পান না। এরজন্য আমরাই প্রতিবাদ করেছি। উল্টে ওরা লুকিয়ে অন্য রোগী নিয়ে যায় পয়সার বিনিময়ে। এর ফলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হই।”

রাতে গাড়ির চালক হাসপাতালেই থাকে আর গাড়িতেই থাকে বলে জানিয়েছেন ১০২ ইমারজেন্সি ম্যানেজমেন্ট এক্সিকিউটিভ মিঠুন দাস। তিনি বলেন, “আমরা তখনই অন্য রোগী নিয়ে যাই, যখন আমাদের কাছে বিশেষ কোনও আধিকারিকের নির্দেশ থাকে। নচেৎ আমরা আমাদের কাজই করি।” উল্টে বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট চালানোর অভিযোগ করেন মিঠুন। শুধু বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্সের সঙ্গেই নয়, নিশ্চয়যানের চালকদের সঙ্গেও ১০২-এর চালকদের মধ্যে রোগী ধরাকে কেন্দ্র করে চলে প্রতিযোগিতা। সেই প্রতিযোগিতা অনেক সময় অবস্থা চালকদের মধ্যে হাতাহাতিও পৌছে যায় বলে অভিযোগ।

অল বেঙ্গল নিশ্চয়যান অ্যাম্বুল্যান্স অপারেটর ইউনিয়নের প্রতিনিধি রামকুমার মণ্ডল বলেন “আমরা আর ১০২ টোল ফ্রি নম্বরের গাড়ির চালকেরা পরিষেবা না দিলে পয়সা পাব না। এই জন্য আমাদের সঙ্গে ওদের সঙ্গে রোগী ধরাকে কেন্দ্র করে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।”

মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা যায়, জেলার সব প্রান্ত থেকে রোগীরা এই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসে। এই হাসপাতাল থেকেও কলকাতা বা অন্যত্র রোগী রেফার হয় নিয়মিত। পাশাপাশি দৈনিক কম করে ৭০ জন মা সদ্যোজাত সহ ছুটির পর বাড়ি ফেরেন নিশ্চয়যানে অথবা ১০২ গাড়িতে। ফলে অনেক অ্যাম্বুল্যান্সের দরকার পড়ে, ও তাদের মধ্যে অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের সঙ্গে দরকষাকষি শুরু হয়ে যায়। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি জানলেন মেডিক্যালের সুপার শর্মিলা মল্লিক।

Murshidabad Medical College Ambulance
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy