Advertisement
০১ মে ২০২৪
Domkal Youth Death

ময়নাতদন্তের প্রস্তুতির সময় নড়ে উঠেছিল দেহ! ডোমকলে যুবকের মৃত্যুতে দাবি পরিবারের

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের ডোমকলের জোতকানাই এলাকার বাসিন্দা পেশায় গ্রামীণ চিকিৎসক শহিদুল ইসলাম (২৬) দীর্ঘ দিন যাবত রাধাকান্তপুরে দাদুর বাড়িতে থাকতেন।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ডোমকল শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০২৩ ২২:৫১
Share: Save:

সকালে নিজের ঘর থেকে অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল যুবককে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণাও করেন চিকিৎসক। পরে পুলিশ এসে যুবকের দেহ থানায় নিয়ে যায়। সেখানেই ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছিল। এমন সময়েই নাকি নড়ে ওঠেন যুবক। অন্তত তেমনটাই দাবি পরিবারে। তাদের দাবি মেনে দেহ দ্বিতীয় বার পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসক যুবককে মৃত ঘোষণা করায় ক্ষোভে ফেটে পড়ল পরিবার। তাদের অভিযোগ, প্রথম বার যখন নিয়ে আসা হয়, সঠিক ভাবে পরীক্ষা না করেই মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল যুবককে। চিকিৎসার গাফিলতির কারণেই যুবকের মৃত্যু হয়েছে, এই অভিযোগ ঘিরে শোরগোল মুর্শিদাবাদের ডোমকলে। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের ডোমকলের জোতকানাই এলাকার বাসিন্দা পেশায় গ্রামীণ চিকিৎসক শহিদুল ইসলাম (২৬) দীর্ঘ দিন যাবত রাধাকান্তপুরে দাদুর বাড়িতে থাকতেন। সদ্য একটি মোটরবাইক কেনা নিয়ে দিদিমার সঙ্গে বচসা হয় যুবকের। এর পর শনিবার সকালে তাঁর ঘর থেকে নিথর দেহ উদ্ধার করে পরিবার। তড়িঘড়ি তাঁকে ডোমকল সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা করে যুবককে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছয় পুলিশ। সেখান থেকে যুবকের দেহ থানায় নিয়ে গিয়ে ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি শুরু হয়। সেখানে উপস্থিত ছিল যুবকের পরিবারের লোকজন। পরিবারের দাবি, থানায় আচমকা নড়ে উঠেছিল শহিদুলের দেহ! পরিবারের দাবি মেনে দেহ দ্বিতীয় বার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সে বারও চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এর পরেই মৃত্যুর কারণ জানতে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। যদিও হাসপাতালে বিরুদ্ধে সঠিক ভাবে পরীক্ষা না করা ও চিকিৎসা গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে পরিবার। শহিদুলের আত্মীয় টিটো মণ্ডল দাবি করেন, ‘‘ও ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। তাই হয়তো নিথর হয়েছিল। কিন্তু হাত-পা সব গরম ছিল। কেউ মারা গেলে তার হাত-পা গরম থাকে না। আর থানাতে আমাদের চোখের সামনে নড়ে উঠেছে। হাসপাতালের ডাক্তার ভাল করে না দেখেই ওকে মৃত বলে দেয়।’’

এই অভিযোগ অস্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, পদ্ধতি মেনে পরীক্ষা করেই ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। পরবর্তী কালে পুনরায় পরীক্ষা করে একই সিদ্ধান্তে পৌঁছনো গিয়েছে। কোনও গাফিলতি থাকলে ময়নাতদন্তে নিশ্চয়ই স্পষ্ট হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Domkal Murshidabad
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE