Advertisement
E-Paper

‘দৌড়ে গিয়ে উঠলাম জ্বলন্ত বাসে’

আশপাশের বাসগুলিকে সরানো গেলেও আগুন ধরে যাওয়া বাসগুলিকে সরাতে কেউ সাহস পাচ্ছে না। টায়ারও ফাটতে শুরু করেছে।

সুন্দরলাল বিশ্বাস, ট্যাঙ্কার চালক, বহরমপুরের বাসিন্দা

শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৯ ০৩:০৮

বাসস্ট্যান্ডের পাশেই একটি পেট্রল পাম্পের ট্যাঙ্কার চালাই। বৃহস্পতিবার রাত তখন প্রায় ১টা। দুর্গাপুর থেকে সবে পাম্পে এসে তেল নামাতে শুরু করেছি। ঠিক তখনই ‘আগুন... আগুন’ চিৎকার শুনে এগিয়ে যাই। দু’পা এগিয়েই দেখি, বাসস্ট্যান্ডে দাউদাউ করে জ্বলছে তিনটি বাস। পাশেই আরও দু’টি বাসেও আগুন ধরেছে। পুলিশ ও কয়েক জন লোক বালতিতে জল ঢালছে।

আশপাশের বাসগুলিকে সরানো গেলেও আগুন ধরে যাওয়া বাসগুলিকে সরাতে কেউ সাহস পাচ্ছে না। টায়ারও ফাটতে শুরু করেছে। ভাবলাম, আগুন তো লেগেছে বাসের সামনে। স্ট্যান্ড থেকে বাসটিকে রাস্তায় আনতে বড় জোর মিনিট তিনেক লাগবে। আর কিছু ভাবানি। সামনে থেকে সবাইকে সরিয়ে একটি বাসে উঠে পড়লাম। বাস রাস্তায় উঠতেই বালতিতে করে জল ঢেলে পুলিশ ও লোকজন আগুন নিভিয়ে ফেলে।

ফের দৌড়ে গিয়ে উঠে পড়ি আর একটি বাসে। তখনও সেটি জ্বলছে। পাশেই তিনটি বাস জ্বলতে থাকায় তাপে কাছে যাওয়া যাচ্ছে না। তবুও একই ভাবে সেই বাসটিকেও বের করে নিয়ে আসি। বহরমপুরে বিটি কলেজের পাশেই আমার বাড়ি।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

প্রায় ২০ বছর গাড়ি চালাচ্ছি। ট্যাঙ্কার চালাচ্ছি ১০ বছর। দাহ্য পেট্রোলিয়াম নিয়ে চলাচল করি। সতর্ক থাকতে হয় সবসময়। তবে এমন অগ্নিকাণ্ড আগে কখনও দেখিনি। অবাক হচ্ছি, এত বড় একটা বাসস্ট্যান্ডে সামান্য জলের ব্যবস্থাও নেই! এ ভাবে ভয়াবহ আগুন বালতির জলে নেভাতেও এই প্রথম দেখলাম। হোটেল থেকে জলটা সময় মতো মিলেছিল বলেও রক্ষে। আর বিপদের সময় এটুকু ঝুঁকি নিতেই হয়!

Fire Accident
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy