—নিজস্ব চিত্র।
মুর্শিদাবাদের সুতি ব্লকের গোঠা এ আর রহমান হাইস্কুলের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার আরও এক শিক্ষা আধিকারিক। সোমবারই গ্রেফতার হন জঙ্গিপুরের ‘অ্যাসিসট্যান্ট ইনসপেক্টর অফ স্কুল’ অফিসের আধিকারিক সুশীলকুমার বর্মণ। ধৃতকে বহরমপুর আদালতে হাজির করানো হলে তাঁকে তিন দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
জাল নথি ব্যবহার করে ছেলে অনিমেষ তিওয়ারিকে চাকরিতে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছিল গোঠা হাই স্কুলের প্রধানশিক্ষক আশিস তিওয়ারির বিরুদ্ধে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম হয়েছে বলে দাবি করে মামলা করেছিলেন সোমা রায় নামে এক চাকরিপ্রার্থী। মামলাকারীর দাবি ছিল, অরিন্দম মাইতি নামে বেলডাঙা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ভূগোলের শিক্ষকের নথি জাল করে স্কুলে চাকরি পেয়েছেন অনিমেষ। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ওই মামলা তদন্তের ভার নেয় সিআইডি। তদন্ত চলাকালীন গত ১৩ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হন আশিস। গ্রেফতার হন অনিমেষ-সহ কয়েক জন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মুর্শিদাবাদের প্রাক্তন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (অবসরপ্রাপ্ত) পূরবী দে বিশ্বাস, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অধীনস্থ দুই কর্মচারী নিত্যগোপাল মাঝি ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী অঞ্জনা মজুমদারও। তাঁরা ইতিমধ্যেই জামিন পেয়েছেন। জামিন মিলেছে আশিসেরও। কিন্তু গ্রেফতার হলেন সুশীল। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, সুশীলই অনিমেষের বেতন সংক্রান্ত নথি ওয়েবসাইটে আপলোড করেছিলেন। কিন্তু সেই সব নথি আর পাওয়া যাচ্ছে না। প্রসঙ্গত, ‘ভুয়ো শিক্ষক’ নিয়োগের তদন্তে নেমে সুশীলকে আগে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল সিআইডির তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy