কংগ্রেস ছেড়ে পুরনো দল তৃণমূলে পা বাড়ালেন প্রদেশ কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক অশোক দাস।
তবে, অশোক দাসের পরিচয় নিছক দলের সাধারণ সম্পাদক বললেই সম্পূর্ণ হয় না।
কংগ্রেসের গড় মুর্শিদাবাদে, তাঁর একের পর এক ঘনিষ্ঠ মুখ যখন নিশ্চুপে সরে যাচ্ছে, তখনও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর ছায়া সঙ্গী হিসেবেই দেখা গিয়েছে অশোককে। দলত্যাগীদের বিরুদ্ধে জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র অশোকের তোপ দাগারও বিরাম ছিল না। তা হলে সরে যাচ্ছেন কেন?
পরিচিত গলায় চেনা সুরই বাজিয়েছেন অশোক। কলকাতা থেকে ফোনে বলছেন, ‘‘এক সময় সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করে কংগ্রেস রাজনীতি করতাম। সেই সিপিএমের সঙ্গে এখন বোঝাপড়া করে কংগ্রেস চলছে। এটা মেনে নিতে পারলাম না। তাই কংগ্রেস ছাড়লাম।’’
বৃহস্পতিবার সে কথা অধীরকে মোবাইলে মেসেজ করে জানিয়েও দিয়েছেন তিনি। অধীর অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, সুব্রত বক্সির সঙ্গে এ দিন দুপুরে কথাও বলেছেন অশোক। সুব্রত বলেন, ‘‘অশোক দাস এসেছিলেন। আমরা এক সময় এক সঙ্গে রাজনীতি করেছি। তাঁর সঙ্গে এ দিন আলোচনা হয়েছে।’’ তবে, কবে তিনি তৃণমূলে যোগ দেবেন তা খোলসা
করেননি সুব্রত।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, অশোক দাসের তৃণমূলে অন্তর্ভূক্তির ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন দলনেত্রী।মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু তাহের খান বলেন, ‘‘গত বিধানসভায় অশোক প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু টিকিট না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ ছিলেন বলে শুনেছি। হয়তো সে কারণেই দল ছাড়ছেন।’’ একদা জেলা যুব কংগ্রেস সভাপতি মান্নান হোসেনের ‘টিম মেম্বার’ হিসাবে পরিচিত ছিলেন অশোক। তৃণমূলেও তিনি ছিলেন জেলা যুব কংগ্রেসের সভাপতি। ২০০১ সাল থেকে ২০০৮ সালের ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি ছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল সভাপতি। ২০০৮ সালের ১২ জানুয়ারি তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy