বৈশাখের শুরুতে ঝড় বৃষ্টিতে পাট চাষিরা স্বস্তিরা পেলেও, বিঘার পর বিঘা গাছ ভেঙে ক্ষতি হল কলা চাষে। তেহট্ট ১ ও ২ ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় এই দৃশ্য দেখা গেল। ফলে মাথায় হাত কলা চাষিদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তেহট্ট ১ ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় চাষ হয় কলার। কলা চাষ লাভজনক হওয়ায় বর্তমানে বেশিরভাগ চাষি এই চাষে ঝুঁকছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের আঁচ পেয়েই এলাকার চাষিরা সপ্তাহ তিনেক আগে থেকেই চৈত্র মাসেই ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করে। তারা কলা গাছ বাঁচানোর জন্য বাড়তি খরচ করে বাঁশের ঠেকনি দিয়ে ছিলেন। কারণ, কলা গাছের কাণ্ড খুব নরম হয়। ঝড় ও বৃষ্টি হলেই এই গাছ ভেঙ্গে পড়ে। তাই আগে ভাগে গাছ বাঁচানোর চেষ্টা করলেও সপ্তাহ জুড়ে বিক্ষিপ্ত ভাবে ঝড় বৃষ্টিতে গাছ ভেঙ্গে যায়। এর ফলে ক্ষতির সামনে পড়েছে অনেক চাষি।
জানা গিয়েছে, কয়েক দিন আগে রাতে ব্যাপক ঝড় বৃষ্টি হয়। এই কারণে তেহট্ট ১ ব্লকের বয়েরবান্ধা, খানপুর এলাকায় বিঘার পর বিঘা জমিতে করা গাছ ভেঙে যায়। আবার বৃহস্পতিবার দুপুরে ও সন্ধ্যার সময় দমকা হাওয়া ও হালকা ঝড়ের পাশাপাশি বৃষ্টি হয়। ফলে তেহট্ট ২ ব্লকের চকবিহারী, ঝিনুকঘাটা-সহ দিয়ারের বিস্তীর্ণ মাঠে বিঘার পর বিঘা জমিতে কলা গাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
দিয়ারের মাঠের কলা চাষি মিহির মণ্ডল বলেন, ‘‘অনুপ বলেন, রাতের ঝড়ে আমার কলা বাগান সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই কলা চাষের উপরেই সংসার চলে। দু’বিঘার কলা বাগানের সব গাছ ভেঙে গিয়েছে।” বয়েরবান্ধার বাবলু বিশ্বাস বলেন, “এক দমকা ঝড় হয়। সকালে গিয়ে দেখি, বাগানের সব কলা গাছ মাটি শুদ্ধ উপড়ে গিয়েছে।” আর এক চাষি ভুবন মণ্ডল বলেন, “কলার কান্ড নরম হয়। তাই বেশি বৃষ্টি হলেও মাটি নরম হয়ে যায়। আর এক দিন ভালই বৃষ্টি হয়েছে, পাশাপাশি ঝড়, এই কারণে গাছ পুরো উপড়েও গিয়েছে। আবার কোথাও ভেঙে গিয়েছে।” প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)