— প্রতীকী চিত্র।
বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু বাংলাদেশের এক নাগরিকের। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সুতির চাঁদনিচক বর্ডার ফাঁড়ি এলাকায়। অভিযোগ, অবৈধ ভাবে কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছিলেন ওই ব্যক্তি।
বিএসএফ সূত্রে খবর, মাথায় জিনিসপত্র নিয়ে কয়েক জনকে ভারতের দিক থেকে বাংলাদেশের দিকে যেতে দেখেন কর্তব্যরত জওয়ানেরা। তাঁরা বাধা দেন। কিন্তু তা উপেক্ষা করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন অভিযুক্তেরা। শুধু তাই নয়, সেই সময় ধারালো অস্ত্র নিয়ে পাঁচ-ছয় জন জওয়ানদের উপর চড়াও হন অভিযুক্তেরা। তখন আত্মরক্ষার্থে চোরাকারবারিদের লক্ষ্য করে এক রাউন্ড গুলি চালান এক জওয়ান। তখন ঝোপঝাড়ের আড়াল দিয়ে পালিয়ে যান অভিযুক্তেরা। টহলে দায়িত্বে থাকা কোম্পানির কমান্ডার অবিলম্বে ঘটনাস্থলে যান। জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে এলাকায় তল্লাশি শুরু করেন। প্রথমে ছয় বান্ডিল বিড়ির পাতা উদ্ধার করেন তাঁরা। সেখানেই আহত অবস্থায় এক বাংলাদেশিকে উদ্ধারও করেন। তাঁকে মুর্শিদাবাদের মহেশাইল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। বিএসএফের দাবি, ওই ব্যক্তি এক জন চোরাকারবারি। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঋষিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আইবি থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঋষিপাড়া গ্রামটি ৪.৫ কিলোমিটারের। ওই চোরাকারবারি বাংলাদেশের বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ)-র নিরাপত্তা কর্ডন অতিক্রম করে অবৈধ ভাবে ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করেছিলেন।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের ডিআইজি একে আর্য জানান, এমন ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। ব্যতিক্রমী সাহস ও সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার জন্য তিনি বিএসএফ জওয়ানদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশি অপরাধীদের হামলা এবং অনুপ্রবেশ সম্পর্কে বিজিবি-র সঙ্গে বার বার পতাকা বৈঠক করেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy