Advertisement
০২ মে ২০২৪

ব্যাঙ্কে চুরির কিনারা, ধৃত ১

ধুবুলিয়ার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে চুরির ঘটনায় একজনকে ধরল পুলিশ। ধৃতের নাম সাত্তার শেখ। ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা ওই যুবককে শুক্রবার দুপুরে পলাশির হাজরাপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ব্যাঙ্কের সিল মারা চার লক্ষ টাকা ও বেশ কিছু যন্ত্রপাতি।

উদ্ধার হওয়া টাকা।— নিজস্ব চিত্র।

উদ্ধার হওয়া টাকা।— নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ধুবুলিয়া শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৫ ০১:২৪
Share: Save:

ধুবুলিয়ার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে চুরির ঘটনায় একজনকে ধরল পুলিশ। ধৃতের নাম সাত্তার শেখ। ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা ওই যুবককে শুক্রবার দুপুরে পলাশির হাজরাপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ব্যাঙ্কের সিল মারা চার লক্ষ টাকা ও বেশ কিছু যন্ত্রপাতি।

জেলার পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘ঘটনার পরেই একটি বিশেষ দল তৈরি করা হয়েছিল। সেই দলের আধিকারিকেরা সাত্তারকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।’’ পুলিশের দাবি, জেরায় সাত্তার ঘটনার কথা কবুল করেছে। দলে সাত্তার ছাড়া আরও তিন জন ছিল। ওই দুষ্কৃতীদের সঙ্গে স্থানীয় কারও যোগ রয়েছে কি না পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। আজ, শনিবার ধৃত ওই যুবককে আদালতে হাজির
করানো হবে।

গত ৩০ মার্চ রাতে ব্যাঙ্কের পিছনের জানালার গ্রিল ভেঙে ভিতরে ঢুকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা লুঠ করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। পরের দিন সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়। মাস খানেক আগে ওই ব্যাঙ্ক তৈরি হয়। ধুবুলিয়া থানা থেকে মেরেকেটে পঞ্চাশ মিটার দূরের ওই ব্যাঙ্ক থেকে এ ভাবে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তবে ঘটনার চার দিনের মাথায় একজনকে গ্রেফতার করায় পুলিশের মুখ রক্ষা হল বলেই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীরা ভিতরে ঢুকে প্রথমে সিসিটিভির তার কেটে দেয়। তারপর দরজা ভেঙে ভল্টের কাছে পৌঁছয়। ভল্টের সঙ্গে যুক্ত সাইরেনের তার কাটার পর ভল্ট ভাঙা হয়। রাতে ব্যাঙ্কে কোন নিরাপত্তাকর্মী না থাকায় অবাধে ‘অপারেশন’ সেরে বেরিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেরই অভিযোগ, বছর কয়েক আগে চার জনকে খুন করে ব্যাঙ্ক ডাকাতি হয়েছিল সীমান্তের করিমপুরে। তারপরেও ব্যাঙ্কে যে ধরনের নিরাপত্তা থাকার কথা সেই সময় বলা হয়েছিল তার সিকিভাগও ছিল না এই ব্যাঙ্কে।

জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ভিন্ রাজ্য থেকে এসে দুষ্কৃতীরা যে ভাবে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তাতে মনে হচ্ছে এই ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় কেউ যুক্ত থাকতে পারে। এর আগে জেলার বেশ কয়েকটি জায়গায় সোনার দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনার সঙ্গে এই দুষ্কৃতীদের যোগ রয়েছে কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE