লালবাগে সিপিএমের দলীয় দফতরে তাণ্ডব। নিজস্ব চিত্র
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রথম পর্বে তৃণমূলের হাতে আক্রান্তের তালিকায় ছিলেন মুর্শিদাবাদের তিন কংগ্রেস বিধায়ক, সফিউজ্জামান, ফিরোজা বেগম ও আবু তাহের খান। আদালতের নির্দেশে মনোনয়নের জন্য নতুন করে বরাদ্দ চব্বিশ ঘণ্টায় সেই তালিকায় সংযোজন ঘটল আরও তিন কংগ্রেস বিধায়ক— মনোজ চক্রবর্তী, হুমায়ুন রেজা এবং আখরুজ্জামান। আক্রান্ত হলেন সিপিএমের মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য। এবং অভিযোগের তির ফের শাসক দলের দিকেই। সোমবার, সকালে দলের জেলা নেত্রী মৌসুমী বেগমকে নিয়ে মনোনয়ন কেন্দ্রের দিকে যাচ্ছিলেন মনোজ, সঙ্গে ছিলেন বেশ কয়েক জন দলীয় কর্মী। দুপুর দেড়টা নাগাদ, বহরমপুর বিডিও অফিসের সামনে পৌঁছনোমাত্র তাঁকে বাধা দিতে এগিয়ে আসে বেশ কয়েক জন। প্রত্যেকের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা। বচসাটা শুরু হয়, ‘এখানে কী দরকার দাদা!’ দিয়ে। মিনিট কয়েক কথা কাটাকাটির পরে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। এই সময়ে তৃণমূলের একটি দলীয় পতাকা দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয় মনোজকে। মাটিতে পড়ে গেলেও রেহাই মেলেনি তাঁর। বাধা দিতে গিয়ে আহত হন মৌসুমীও।
খবর ছড়িয়ে পড়তেই বহরমপুর শহরে উত্তেজনা ছড়ায়। কিছুক্ষণের মধ্যে পঞ্চাননতলায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে বসে পড়েন কংগ্রেস কর্মীরা। মনোজও আসেন সেখানে। পনেরো মিনিটের মধ্যেই সে অবরোধ তুলে দেয় পুলিশ। মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) অনীশ সরকার এসে তাঁদের আশ্বাস দেন, সন্ধের মধ্যে অভিযুক্তদের ধরা হবে। এ দিন বিকেলে অভিযুক্ত ১১ জনকে আটক করে পুলিশ। তারা কি তৃণমূল কর্মী? সে ব্যাপারে পুলিশ কিছু বলতে চায়নি। পরে, মনোজ বলেন, “প্রার্থীদের নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাচ্ছিলাম। শাসকদের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আচমকা লাঠিপেটা করতে থাকে— এসবই ঘটে পুলিশের সামনে। কী আর বলব!’’ মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র অশোক দাস বলেন, “কংগ্রেস গোলমাল পাকাতে গিয়েছিল। আমরা প্রতিহত করেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy