হাসপাতালে ভর্তি জখমরা। — নিজস্ব চিত্র।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগের দিন কংগ্রেস প্রার্থীর বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা নদিয়ার নাকাশিপাড়ার। অভিযোগ, রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত তৃণমূলের বাইক বাহিনী তাণ্ডব চালিয়েছে নাকাশিপাড়ার হরনগর পঞ্চায়েত এলাকায়। হামলার জেরে অন্তত ১৫ জন জখম বলে অভিযোগ। এলাকা থেকে গুলির খোলও পাওয়া গিয়েছে বলে কংগ্রেসের দাবি। যদিও বিরোধীদের তোলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
কংগ্রেসের অভিযোগ, নাকাশিপাড়ার হরনগর গ্রাম পঞ্চায়েত বারোভেগা এবং চণ্ডীপুর গ্রামে রবিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে রাত ২টো পর্যন্ত তাণ্ডব চালিয়েছে তৃণমূলের বাইক বাহিনী। কংগ্রেসের অভিযোগ, হরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ফতেমা বিবির স্বামী জুব্বার শেখ ওই হামলার নেতৃত্বে ছিলেন। হাতশিবিরের বক্তব্য, ৫০ জনেরও বেশি তৃণমূল কর্মী-সমর্থক রাত ২টো পর্যন্ত গ্রামের অলিগলিতে ঢুকে হামলা চালায়। চণ্ডীপুরের সম্ভাব্য জোট প্রার্থী মোসলেম শেখ। তাঁর অভিযোগ, ‘‘রাতে আমার বাড়িতে চড়াও হয় জুব্বারের নেতৃত্বে জনা পঞ্চাশেক লোক। বেশিরভাগ জনের হাতে ছিল বন্দুক। প্রথমে আমাকে ঘর থেকে টেনে নিয়ে এসে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারা হয়। বাড়ি ঘিরে ধরে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তারা আমাকে হুমকি দিচ্ছিল, আগামিকাল ব্লক অফিসে যাওয়া যাবে না।’’ মোসলেম আরও বলেন, ‘‘তখন তৃণমূলের লোকজনের হাতে-পায়ে ধরে মনোনয়ন জমা দেব না, এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা পেয়েছি। তবুও আজ সাহস করে মনোনয়ন জমা দেব।’’
কংগ্রেসের দাবি, হামলার জেরে শিশু এবং মহিলা মিলিয়ে আহত ১৫ জনেরও বেশি। প্রত্যেকেই বেথুয়াডহরি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। কয়েকটি কার্তুজের খোল এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এ নিয়ে তৃণমূলের নাকাশিপাড়ার ব্লক সভাপতি কনিষ্ক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিরোধীরা অনেক রকম অপপ্রচার করে। এমন কোনও ঘটনার কথা আমার জানা নেই।’’
কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কৃশানু রায় বলেন, ‘‘এ ধরনের একটি অভিযোগের কথা আমরা শুনেছি। আমরা খোঁজ নিচ্ছি। তবে নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy