Advertisement
E-Paper

চাকরিই হবে না পুরনো মামলা না তুললে! রাজি না হওয়ায় তৃণমূল কর্মীকে শাবল-লাঠি পিটিয়ে খুন, অভিযুক্ত বিজেপি

পঞ্চায়েত ভোটের সময় মারামারির ঘটনা নিয়ে মামলা এখনও ঝুলে রয়েছে আদালতে। বার বার বলা সত্ত্বেও ওই মামলা তুলছিলেন না তৃণমূল কর্মী। কাজ হয়নি হুমকিতেও। শাসকদলের সেই কর্মীকে এ বার খুন করে দেওয়া হল পিটিয়ে!

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৫ ১৯:২৫
BJP accused of killing TMC Worker in Murshidabad

—প্রতীকী চিত্র।

পঞ্চায়েত ভোটের সময় মারামারির ঘটনা নিয়ে মামলা এখনও ঝুলে রয়েছে আদালতে। বার বার বলা সত্ত্বেও ওই মামলা তুলছিলেন না তৃণমূল কর্মী। কাজ হয়নি হুমকিতেও। শাসকদলের সেই কর্মীকে এ বার খুন করে দেওয়া হল পিটিয়ে!

মুর্শিদাবাদের রেজিনগর থানা এলাকার আন্দুলবেড়িয়ায় এই ঘটনায় কয়েক জন বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে নিহত তৃণমূল কর্মী পতিত পালের (৪৩) পরিবার। পরিবারের দাবি, তৃণমূলের ২১ জুলাই কর্মসূচির দিন টোটো চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে কয়েক জন পতিতকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, তাঁকে শাবল-লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও শেষরক্ষা হয়নি। শুক্রবার রাতে মৃত্যু হয় পতিতের।

পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর স্থানীয় কয়েক জন বিজেপি কর্মীর সঙ্গে গন্ডগোলে জড়িয়ে পড়েছিলেন পতিত। অভিযোগ, তাঁর উপর চড়াও হয়েছিলেন বিজেপি কর্মীরা। সেই ঘটনায় এখনও মামলা চলছে। পরিবারের দাবি, অভিযুক্তদের এক জন সম্প্রতি চাকরি পেয়েছেন। কিন্তু পুরনো মামলার জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন হচ্ছে না। সেই কারণেই পতিতের উপর চাপ দেওয়া হচ্ছিল মামলা তুলে নেওয়ার জন্য। কিন্তু পতিত না শোনায় তাঁকে খুন করা হয়েছে।

নিহতের ভাই পরিতোষ পাল বলেন, ‘‘বিজেপির লোকজন আমার দাদাকে মেরেছে। পুরনো একটি মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল ওরা। না শোনায় মেরে ফেলেছে ওকে। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি চাই।”

নিহতের পরিবার রেজিনগর থানায় ছ’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে এলাকায়। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার কুমার সানি রাজ বলেন, ‘‘খুনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছিল। নতুন করে খুনের অভিযোগ যুক্ত হবে। ঘটনায় যুক্ত প্রত্যেককে গ্রেফতার করতে তল্লাশি চলছে।’’

রেজিনগরের তৃণমূল বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় নিহত তৃণমূল কর্মীর উপর আক্রমণ হয়। উনি পুলিশে একটা মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। রাজি না হওয়াতেই এই খুন।’’

বিজেপি নেতা গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। প্রশাসনিক ব্যর্থতার দায় ঝেড়ে ফেলতে বিজেপিকে দোষারোপ করা হচ্ছে। প্রশাসন নিরপেক্ষ তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য উদ্‌ঘাটিত হবে।’’

TMC workers West Bengal Politics
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy