লালবাগে শুভেন্দুর সভা। —নিজস্ব চিত্র।
মুর্শিদাবাদে অল্প অল্প করে হলেও গেরুয়া শিবিরের তৎপরতা বাড়ছে। শুধু জানুয়ারি মাসেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার পরপর তিন দিন জেলায় কাটিয়ে গেলেন। তার আগে ৫ জানুয়ারি জেলায় এসেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার পরে বুধবার আবার শুভেন্দু জেলায় জনসভা করলেন। জেলায় দু’টি বিধানসভা কেন্দ্র বিজেপির হাতে। লোকসভা ভোটের মুখে সেখানে বিজেপির তৎপরতা বেশ চোখে পড়ছে।
বুধবার বিকেলে লালবাগ শহরের নাকুড়তলা সংলগ্ন মাঠে বুথ-কর্মী সভার আয়োজন করেছিল বিজেপি। প্রধান বক্তা ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। তিনি বলেন, “২০১৪ সালে বিজেপির ইস্তেহারে যে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, সেগুলির অধিকাংশই কার্যকরী করা হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম রামমন্দির নির্মাণ।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা মন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে শুভেন্দু বলেন, ‘‘তিনি হিন্দুদের ‘কাফের’ বলে সম্বোধন করেন। এক জন ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান হয়ে কী করে তিনি হিন্দুদের উদ্দেশে এই ধরনের উক্তি করতে পারেন?” শুভেন্দু বিভিন্ন রাজ্যের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের কাজের খতিয়ান তুলে বলেন, “রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার না এলে এ রাজ্যে উন্নয়ন থমকে থাকবে।” তিনি আরও দাবি করেন, “অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকেও জেলে যেতে হয়েছিল। এ রাজ্যেও তার অন্যথা হবে না।’’
শুভেন্দুর এই অভিযোগের ভিত্তিতে বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতাচ্যুত হলে শুভেন্দুকেও জেলে যেতে হবে।’’
শুভেন্দু অধিকারীর জোট নিয়ে কটাক্ষের উত্তরে কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘তিনি মানসিক ভাবে ভারসাম্যহীন, তাই তিনি এই ধরনের উক্তি করেছেন। ছিলেন জোড়াফুলে, এখন পদ্মফুলে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy