এই ক্লাব ঘরকে কেন্দ্র করেই অশান্তির সূত্রপাত (বাঁ দিকে)। মৃত নরোত্তম বাগচী (ডান দিকে)। রবিবার ধানতলার বহিরগাছিতে। ছবি সুদেব দাস।
গ্রাম পঞ্চায়েতের এক প্রার্থীর পরিবারের সদস্যকে মারধরের ঘটনায় মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মৃতের নাম নরোত্তম বাগচি (৬০)। তাঁর বাড়ি ধানতলা থানার বহিরগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিশ্বনাথপুর পশ্চিম পাড়ায়। মৃত ব্যক্তি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে দাবি করেছে দল। অভিযুক্ত আবার তৃণমূলের সমর্থক।
রানাঘাট ২ ব্লকের বহিরগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিশ্বনাথপুরের বাসিন্দা নরোত্তম এক সময়ে আধা সামরিক বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে উত্তর ২৪ পরগনার পলতার বাড়িতে থাকেন। গ্রামের বাড়িতে একাই থাকতেন নরোত্তম। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত প্রায় ১০টা নাগাদ পাড়ার একটি ক্লাবের সদস্য অতীন্দ্র ঢালির সঙ্গে তাঁর বচসা হয়। অতীন্দ্র নরোত্তমকে ধাক্কা দিলে তিনি একটি গাছের উপর পড়ে যান বলে অভিযোগ। তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। তাঁকে সব্দালপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে ‘মৃত’ ঘোষণা করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নরোত্তনের বৌমা শিপ্রা বাগচি বহিরগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪৬ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী। মৃতের ভাই তপন বাগচির দাবি, "দাদা বিজেপির সমর্থক ছিলেন। সেই অপরাধেই অতীন্দ্র ঢালি ওরফে রথীন দাদাকে মারধর করেছে।" রাতেই অতীন্দ্রের নামে ধানতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। তৃণমূলের সমর্থক বলে পরিচিত পলাতক।
নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক আশীষবরণ উকিলের দাবি, "দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের সমর্থক নরোত্তম বাগচির উপর রাগ ছিল তৃণমূলের দুষ্কৃতী অতীন্দ্রের। এর আগেও সে এলাকায় ভীতি প্রদর্শন করেছে।" অভিযোগ উড়িয়ে রানাঘাট ২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি রাজেশ ভৌমিকের পাল্টা দাবি, "ব্যক্তিগত ভাবে আমি নরোত্তমবাবুকে চিনি। মত্ত অবস্থায় অতীন্দ্র তাঁকে ধাক্কা দিয়েছে। এর সঙ্গে রাজনীতি বা তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।" পুলিশ জানায়ে, অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশিশুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy