প্রতীকী ছবি
নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় পুড়ে খাক হয়েছিল মুর্শিদাবাদ। জেলার একাধিক রেলস্টেশন ও ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনা থেকে গুলি— বছর শুরুর সেই দিনগুলো এখনও মনে আছে মুর্শিদাবাদের মনে আছে। সেই নয়া নাগরিকত্ব আইনের প্রাসঙ্গিকতা তুলে সন্তর্পনে হিন্দুত্বের প্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।
আইনটা ঠিক কি, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। পুরভোটের প্রচারে তাকেই সামনে এনে বিজেপি’র উত্তর ও দক্ষিণ বহরমপুর পৌর মণ্ডল কমিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে সে প্রচার শুরু করেছে। অভিযোগ, সুযোগ বুঝে কোথাও কোথাও বিজেপির হিন্দুত্ব লাইনের কথাও তুলে ধরা হচ্ছে। জেলা বিজেপি নেতৃ্ত্ব অবশ্য, ধর্মীয় মেরুকরণের কথা অস্বীকার করেছে।
বহরমপুর (উত্তর) পৌর মণ্ডল কমিটির সভাপতি বিশ্বরুপ ঘোষ বলেন, ‘‘এখানে হিন্দু-মুসলিম এক সঙ্গে বসবাস করি। আমরা ধর্মীয় বিভাজন করি না। নয়া নাগরিকত্ব আইন দেশের পক্ষে কেন ভাল তা তুলে ধরা হচ্ছে ঠিকই তবে তার মানে বিভাজনের রাজনীতি করা নয়।’’
বহরমপুর (দক্ষিণ) পৌর মণ্ডল কমিটির সভাপতি প্রদীপকুমার সিংহ বলেন, ‘‘নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এক শ্রেণির মানুষকে ভুল বোঝানো হয়েছে। তাই আমরা সঠিক বিষয় তুলে ধরতে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি। কোথাও ধর্মীয় মেরুকরণের কথা কিন্তু বলছি না।’’ যদিও জেলা বিজেপির এক নেতা বলেন, ‘‘এ রাজ্যের তৃণমূল সরকার একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে বিশেষ সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। তারা ধর্মীয় বিভাজন করছে। সংখ্যাগুরুদের গুরুত্ব দিচ্ছে না। সে সব কথা স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসছে প্রচারে। বিজেপি ছাড়া অন্য রাজনৈতিক দলগুলির মদতে কিভাবে জেলায় ট্রেন পুড়ল, রেলস্টেশন জ্বলল, কিভাবে রেলপথে যাতয়াতে মানুষ সমস্যায় পড়লেন সে সব সত্যি কথা
বলাটা কি পাপ!’’
জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র অশোক দাস বলেন, ‘‘এখানে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের তাস খেলে লাভ হবে না। বহরমপুরের মতো সম্প্রীতির শহরে মানুষ উন্নয়নের পক্ষে আমাদেরই ভোট দেবেন।’’ জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাসও বলেন, ‘‘বহরমপুর সম্প্রীতির শহর। এখানে মেরুকরণের চেষ্টা করে লাভ হবে না। মানুষ এর পাল্টা জবাব দেবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy