Advertisement
E-Paper

হেনস্থার অভিযোগ বিজেপি সাংসদের

নোটিস কেন পাঠানো হল, তা জানতে চেয়ে রবিবার কৃষ্ণনগরে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরেও যান জগন্না

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২০ ০৫:৫৬
রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। —ফাইল চিত্র।

রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। —ফাইল চিত্র।

সরকারি কোয়রান্টিন সেন্টারে যাওয়ার জন্য তৃণমূল নেতাকে হোম কোয়রান্টিনে থাকার নোটিস পাঠানো হয়নি। অথচ, একই কারণে তাঁকে কেন এই নোটিস পাঠানো হল, সেই প্রশ্ন তুলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ করলেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার।

নোটিস কেন পাঠানো হল, তা জানতে চেয়ে রবিবার কৃষ্ণনগরে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরেও যান জগন্নাথ। তবে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক না থাকায় তাঁর দেখা হয়নি। এরই মধ্যে এ দিন রাস্তায় পুলিশ তাঁকে আটকায় বলেও জানান সাংসদ। হোম কোয়রান্টিন না মেনে তিনি কেন বেরিয়েছেন, সেই প্রশ্ন করে তাঁকে বাড়ি ফিরে যেতে বলা হয়।

জগন্নাথের অভিযোগ, রাজনৈতিক কারণে তাঁকে নানা ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, আগামী ১০ জুন তাঁকে ভবানীভবনে যেতে বলেছে সিআইডি। তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত জগন্নাথকে অবশ্য আগেই বেশ কয়েকবার জেরা করা হয়েছে। স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৫ মে নবদ্বীপের একটি কোয়রান্টিন সেন্টার পরিদর্শনে যান রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ। তাঁর সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীরাও ছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পর ওই দিন গভীর রাতে তাঁর আড়পাড়ার বাড়িতে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা যান নোটিস নিয়ে। কোয়রান্টিন সেন্টারে যাওয়ার কারণে তাঁকে হোম কোয়রান্টিনে থাকতে হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু তা মানতে অস্বীকার করে নোটিস নেননি সাংসদ। পরের দিন ফের তাঁর বাড়িতে যান কর্মীরা।

জগন্নাথের দাবি, নবদ্বীপের কোয়রান্টিন সেন্টারে নবদ্বীপের পুর প্রশাসক বিমানকৃষ্ণ সাহাও গিয়েছিলেন। তাঁর সাথে বহু কর্মী ছিলেন। কিন্তু তাঁকে এই নোটিস পাঠানো হচ্ছে না। নবদ্বীপের পুর প্রশাসক বিমানকৃষ্ণ বলেন, “আমি দূরত্ব বজায় রেখেই কাজ করছি। নিয়ম মেনে।” তৃণমূলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শঙ্কর সিংহ বলেন, ‘‘প্রশাসন সকলের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এ সমস্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে। একজন সাংসদ হিসাবে তাঁরই তো আগে এগিয়ে আসা উচিত। তা না করে বরং জগন্নাথ সরকারই রাজনীতি করছেন।’’ এদিন সাংসদ বাড়ি থেকে বেরোলে তাঁকে প্রথমে ফিরে যেতে বলে পুলিশ। যদিও পরে সাংসদ বের হন। প্রথমে তিনি যান শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে চোখের সমস্যার জন্য চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেন। পরে যান কৃষ্ণনগরে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে। যদিও তিনি তখন দফতরে ছিলেন না। সাংসদ বলেন, “রাজনৈতিক কারণে আমাকে হেনস্থা করা হচ্ছে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ আমি অপেক্ষা করেও তাঁর দেখা পাইনি। তিনি কেন এই নোটিস দিলেন তা জানতে চেয়ে একটি চিঠি জমা করেছি তাঁর দফতরে। আর তিনি বারবার ফোন করার পরেও আমার ফোন ধরছেন না।” জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অপরেশ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করা হলে তিনি জানান, ভিডিও কনফারেন্সে ব্যস্ত আছেন। পরে আর ফোন ধরেননি।

BJP Quarantine Center Jagannath Sarkar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy