Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Winter season

পৌষ গড়াতে কড়া শীতের আমেজ

মুর্শিদাবাদের পর্যটনকেন্দ্র গুলিতেও তুলনায় এ দিন পর্যটক কম এসেছেন। মুর্শিদাবাদ কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দু’তিন বছরের তুলনায় গড় তাপমাত্রা এবছর কমেছে।

কুয়াশার হাত থেকে ফসল বাঁচাতে আলু খেতে সযত্ন চাষি। ডোমকলে। ছবি: সাফিউল্লা ইসলাম

সামসুদ্দিন বিশ্বাস
বহরমপুর শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৩ ০৬:৩৬
Share: Save:

দিনভর কুয়াশা ঢাকা ছিল সূর্য। মাঝে দুপুরে কিছুক্ষণের জন্য কুয়াশার ঘোমটা সরিয়েছিল সূর্য। তার পরে ফের কুয়াশায় ঢেকে যায়। সেই সঙ্গে হালকা উত্তরের হাওয়ার সঙ্গে জাঁকিয়ে কনকনে শীত পড়েছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ‘গরম বিছানা’ ছেড়ে বেরোননি। যার জেরে মঙ্গলবার দিনভর বাজার ঘাটে লোকজন কম ছিল। তবে তার পরেও শীতের আমেজ মেখে বহরমপুরের মেলাতে সন্ধ্যার পরেও মানুষের ভিড় নজরে পড়েছে।

মুর্শিদাবাদের পর্যটনকেন্দ্র গুলিতেও তুলনায় এ দিন পর্যটক কম এসেছেন। মুর্শিদাবাদ কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দু’তিন বছরের তুলনায় গড় তাপমাত্রা এবছর কমেছে। ইংরেজি নতুন বছরেও গত তিন দিনের মধ্যে মঙ্গলবার ছিল সব থেকে শীতলতম দিন। ১ জানুয়ারি যেখানে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সেখানে গত দু’দিনে তা নেমে গিয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তেমনই ১ জানুয়ারি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মঙ্গলবার তা কমে হয়েছে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মুর্শিদাবাদ কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের মৃত্তিকা বিজ্ঞানের বিষয় বস্তু বিশেষজ্ঞ আবু তালেব বলেন, ‘‘গত দু’তিন বছরের তুলনায় এ বছর গড় তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি কমেছে। যার জেরে শীত বেড়েছে। অন্য বছরের তুলনায় এই সময় কুয়াশাও বেশি পড়ছে। বেশি কুয়াশা পড়ার কারণে আলুতে নাবিধসা রোগ যেমন লাগতে পারে, তেমনই শসা গোত্রীয় গাছে পাউডার রোগ আক্রমণ হতে পারে। মাঠ পরিদর্শন করে কৃষি বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিয়ে বিষ প্রয়োগ করতে হবে।’’

এ দিন জেলার পর্যটনকেন্দ্র থেকে বাজারগুলিতে লোকজনের আনাগোনাও কম ছিল। যার জেরে বিক্রি কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। মুর্শিদাবাদ ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাধারণ সম্পাদক স্বপনকুমার ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘দিনভর কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে গোটা জেলা। সঙ্গে জাঁকিয়ে শীত পড়েছে। যার জেরে রাস্তাঘাট বাজার শুনশান। এ দিন মুর্শিদাবাদ শহরে পর্যটকও তুলনায় কম এসেছেন। যার জেরে এ দিন জেলাজুড়ে ব্যবসায়ীদের বেচাকেনাও কম হয়েছে।’’

সোমবার রাত থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল জেলা। মঙ্গলবার ভোরেও ঘন কুয়াশার চাদড়ে মুড়ে যায় গোটা এলাকা। একদিকে হাড় কাঁপানো শীত, অন্যদিকে কুয়াশার জেরে লোকজন রাস্তায় কম বেরিয়েছেন। ফলে সকাল ও বিকেলে অনেক বাস খুব কম যাত্রী পেয়েছে। ফেডারেশন অব বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন বহরমপুরের মুখপাত্র শান্তনু সাহা বলেন, ‘‘এদিন জাঁকিয়ে শীত পড়েছে। যার জেরে খুব প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘরের বাইরে বেরোননি। ফলে এ দিন বাসে যাত্রীও কম হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘এদিন দুপুরের দিকে ঘণ্টা দুয়েক বাসে কিছুটা যাত্রী হলেও সকাল ও বিকেলে যাত্রী একেবারে কম ছিল। যার ফলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।’’

মুর্শিদাবাদের আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক বিমলকুমার শর্মা বলেন, ‘‘শীতকালে কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ার কারণে যানবাহন চালকদের সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। তেমনই ফেরিঘাটগুলিতেও জলসাথীর মাধ্যমে মাঝিদের সতর্ক করা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Winter season Berhampore
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE