Advertisement
E-Paper

বিধায়কের সঙ্গে অধ্যক্ষের কাজিয়া কল্যাণী কলেজে

রমেনবাবু ভর্তির বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষের কাছে একাধিক বার জানতে মৌখিক এবং লিখিত ভাবে জানতে চান। বিধায়কের অভিযোগ, অধ্যক্ষ তাঁকে কোনও জবাবই দেননি।

নিজস্ব সংবাদাদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৭ ০৮:৫০

কল্যাণী মহাবিদ্যালয়ে ছাত্র ভর্তি নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ এবং পরিচালন সমিতির বিরোধের জল গড়াল মন্ত্রী পর্যন্ত।

ওই কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি, স্থানীয় বিধায়ক তৃণমূলের রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাস সম্প্রতি কলেজের সদ্য যোগ দেওয়া অধ্যক্ষের কাছে ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য চেয়েও তা না পাওয়া থেকেই জল ঘোলা হওয়ার সূত্রপাত। রমেনবাবুর দাবি, ছাত্র ভর্তি নিয়ে ‘দুর্নীতি’র মূলে অধ্যক্ষ রুনু দাসের প্রছন্ন মদত। যা শুনে রুনুদেবীর পাল্টা দাবি, ‘‘ভর্তি নিয়ে কোনও পক্ষপাতিত্বের প্রমাণ যদি দিলে এখনই পদত্যাগ করব।’’ বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে নালিশ জানিয়েছিলেন তিনি। অধ্যক্ষর দাবি, পার্থবাবুর পরামর্শ ছিল — ‘কোনও বহিরাগতের বেয়াদপি কিংবা আবদার বরদাস্ত করবেন না।’ রুনুদেবীকে তিনি স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন, দলের কোনও নেতার হস্তক্ষেপও যেন রেয়াত করা না হয়।

তবে, রমেনবাবুদের অভিযোগ, ওই কলেজে ভর্তি মেধা তালিকা অনুযায়ী হয়নি। মেধা তালিকায় সুযোগ পেলেও বহু তফসিলি আবেদনকারীর নাম ছিল সাধারণ তালিকায় (জেলারেল কোটা)। কিন্তু, তাঁদের জোর করেই সংরক্ষিত আসনে ভর্তি হতে বাধ্য করা হয়েছে। এর ফলে সংরক্ষিত আসনে অপেক্ষাকৃত কম নম্বর পাওয়া ছেলে-মেয়েরা ভর্তির সুযোগ হারাচ্ছে।

রমেনবাবু ভর্তির বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষের কাছে একাধিক বার জানতে মৌখিক এবং লিখিত ভাবে জানতে চান। বিধায়কের অভিযোগ, অধ্যক্ষ তাঁকে কোনও জবাবই দেননি।

অধ্যক্ষ জানান, অনেক মনগড়া কথা ভাসিয়ে দিয়ে কলেজের দুর্নাম ছড়ানো হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘আমি পরিচালন সমিতির সভাপতিকে নিশ্চয়ই এর জবাব দেব। কিন্তু তাঁর জামাই আমার কাছে বিভিন্ন কৈফিয়ত এমনকী কলেজের দৈনন্দিন রিপোর্ট চেয়েছিলেন। আমি তাঁকে অন্তত তা দিতে বাধ্য নই।’’ আর, বিধায়কের জামাই, সূর্যেন্দু দাস বলেন, ‘‘আমি নিজে কিছুই চাইনি। বিধায়কের কিছু কাজ আমি দেখি। তিনি আমাকে যা চাইতে বলেছেন, আমি তাই চেয়েছি।’’

বিধায়কের অভিযোগ, শুধু ভর্তিই নয়, পরিচালন সমিতির অনুমতি ছাড়াই অধ্যক্ষ অনেক কাজ করেছেন। সেই বিষয়গুলি নিয়ে তাঁর কাছে লিখিত ভাবে জানতে চাওয়া হলেও তিনি তা জানাননি। তবে, অধ্যক্ষের দাবি, তিনি বিধায়কের চিঠির জবাব দিয়েছেন। তার নথিও রয়েছে।

Kalyani Mahavidyalaya MLA Principal Broil কল্যাণী মহাবিদ্যালয়
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy