E-Paper

দরপত্রে ‘অনিয়ম’, মামলা হাই কোর্টে

নতুন পুরবোর্ড গঠন হওয়ার পর পুরসভা কর্তৃপক্ষ কৃষ্ণনগর শহরের সৌন্দর্যায়নের জন্য একাধিক সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মতো শহরের বিভিন্ন জায়গায় কাজও শুরু হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:২০
কৃষ্ণনগর পুরসভা। ফাইল চিত্র।

কৃষ্ণনগর পুরসভা। ফাইল চিত্র।

দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠল কৃষ্ণনগর পুরসভার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, নিয়মানুযায়ী ‘ই-টেন্ডার’ না ডেকেই এক ঠিকাদারকে বরাত পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলাও দায়ের করেছেন এক ব্যক্তি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুরসভা কর্তৃপক্ষ। পুরপ্রধান আবার পাল্টা ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম থানায় সমাজ মাধ্যমে তাঁর সম্মানহানির অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

নতুন পুরবোর্ড গঠন হওয়ার পর পুরসভা কর্তৃপক্ষ কৃষ্ণনগর শহরের সৌন্দর্যায়নের জন্য একাধিক সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মতো শহরের বিভিন্ন জায়গায় কাজও শুরু হয়। বেশির ভাগ কাজই শেষের পথে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আইনজীবী ও বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তেওয়ারি কলকাতা হাই কোর্টে দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগ তুলে মামলা করেন।

তরুণজ্যোতির অভিযোগ, “কৃষ্ণনগর পুরসভায় সৌন্দর্যায়নের জন্য প্রায় এক কোটি টাকার কাজ হয়েছে। আইন হল এক লক্ষ টাকার বেশি কাজ হলে সেটা ই-টেন্ডারের মাধ্যমে করতে হবে। পুরসভা ই-টেন্ডার দূরের কথা, কোনও রকম দরপত্র ছাড়াই তাদের ঘনিষ্ট এক সংস্থাকে দরপত্র পাইয়ে দিয়েছে।” তিনি বলেন, “সম্পুর্ণ বেআইনি ভাবে এই কাজ করা হয়েছে। এটা একটা বড়সড় দুর্নীতি। আমরা তাই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি। সেখানে পুরসভা বা পুরপ্রধানের আইনজীবী হলফনামা জমা দিয়ে এই অনিয়মের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। পুরপ্রধান নিজের পদের প্রভাব খাটিয়ে সরকারি অর্থের অপব্যবহার করেছেন। আমরা এই দুর্নীতির শেষ দেখে ছাড়ব।”

যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুরসভা কর্তৃপক্ষ। তৃণমূলের পুরপ্রধান রিতা দাস বলেন, “গোটা বিষয়টি বিচারাধীন। ফলে বিষয়টি নিয়ে এই মুহূর্তে কোনও মন্তব্য করব না। তবে এটা বলতে পারি সব রকম নিয়ম মেনেই কাজটা করা হচ্ছে।”

সম্প্রতি তরুণজ্যোতি গোটা বিষয়টি নিয়ে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি যে মন্তব্য করেছেন তাতে পুরপ্রধানের সম্মানহানি হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই পোস্টের সূত্র ধরে পুরপ্রধান রিতা দাস কৃষ্ণনগর সাইবার ক্রাইম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে পুরসভা ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। রিতা দাস বলেন, “এর পর আমি মানহানির মামলা করব। সেই মতো উকিলের সঙ্গে পরামর্শ করা হচ্ছে।”

যদিও এই প্রসঙ্গে তরুণজ্যোতি তেওয়ারি বলেন, “শুনেছি নাকি সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করেছেন। সবটা নিয়েই আদালতে দেখা হবে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Krishnanagar Municipality Calcutta High Court

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy