Advertisement
E-Paper

কান্দিতে সংঘর্ষে জখম পাঁচ

কংগ্রেস ও তৃণমূলের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বড়ঞার সৈয়দপাড়া। শুক্রবার সকালে কংগ্রেস সমর্থকের বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের এক গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় দুই মহিলা-সহ পাঁচ জন কংগ্রেস সমর্থক জখম হয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৫ ০২:১৪

কংগ্রেস ও তৃণমূলের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বড়ঞার সৈয়দপাড়া। শুক্রবার সকালে কংগ্রেস সমর্থকের বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের এক গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় দুই মহিলা-সহ পাঁচ জন কংগ্রেস সমর্থক জখম হয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামে বেশ কয়েকদিন ধরেই দুই দলের মধ্যে চাপা উত্তেজনা চলছিল। এলাকায় পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু এ দিন সকালে আচমকা তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য আসরাফুল হক তার লোকজন নিয়ে লাল্টু শেখ নামে এক কংগ্রেস সমর্থকের বাড়িতে চড়াও হয়। বাড়িতে ঢুকে লাল্টুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তৃণমূলের লোকজন এলোপাথারি কোপায় বলে অভিযোগ। লাল্টুকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর পরিবারের আরও চারজন জখম হন। খানিক পরে এলাকার লোকজন জড়ো হলে তৃণমূলের লোকজন চম্পট দেয়। লাল্টু শেখ সহ জখম রুমজান শেখ, আসমান শেখ, আলিয়া বিবি ও ফিরোজা বিবিকে বড়ঞা হাসপাতালে নিয়ে যান গ্রামের লোকজন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের কান্দি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় লাল্টু শেখ, রুমজান শেখ ও আসমান শেখকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকরা ‘রেফার’ করেন।

পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেসের টিকিটে জিতে মাস তিনেক আগে আসরাফুল তৃণমূলে যোগ দেন। অভিযোগ, তারপর থেকেই আসরাফুল লাল্টু শেখকে তৃণমূলে নাম লেখানোর জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু লাল্টু শেখ সাফ জানান, তিনি কংগ্রেসেই থাকবেন। সেই কারণেই এ দিনের এই হামলা বলে পুলিশের অনুমান। হাসপাতালের বেডে শুয়ে লাল্টু শেখ বলেন, “আমরা কংগ্রেস না ছাড়াই আমাদেরকে বহু হুমকি দিয়েছে আসরাফুল। কোন কিছুতেই কাজ না হওয়ায় আমাদের মারধর করল।’’ বড়ঞা ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি সফিউল ইসলাম বলেন, “এই ঘটনায় আমরা আসরাফুল ও তার জনাকয়েক শাগরেদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। জোর করে ওরা আমাদের সমর্থকদের দলে টানতে চাইছে।’’ যদিও বড়ঞা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি জালাল উদ্দিন বলেন, “ওই গ্রামে কংগ্রেসের পায়ের তলার মাটি নেই। গ্রাম্য বিবাদের কারণে আসরাফুল ওই কংগ্রেস সমর্থকদের মারধর করেছে।’’ কান্দির এসডিপিও সন্দীপ সেন বলেন, “কী কারণে ওই ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশিও শুরু হয়েছে।”

Trinamool Congress kandi police murshidabad
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy