Advertisement
১৬ জুন ২০২৪

তৃণমূলে যোগ কংগ্রেস প্রধানের

শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রসাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নবীন চন্দ। শুক্রবার নবীন চন্দ-সহ ওই পঞ্চায়েতের মোট ৮ জন কংগ্রেস এবং সিপিএমের ৩ জন এ দিন তৃণমূলে যোগ দেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৫ ০১:০৪
Share: Save:

শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রসাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নবীন চন্দ।

শুক্রবার নবীন চন্দ-সহ ওই পঞ্চায়েতের মোট ৮ জন কংগ্রেস এবং সিপিএমের ৩ জন এ দিন তৃণমূলে যোগ দেন। এ দিন তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি মান্নান হোসেন। এর ফলে মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ ব্লকের মোট ৮টির মধ্যে প্রসাদপুর-সহ চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে এল বলে মান্নানের দাবি।

গত ১৭ জুন বিভিন্ন সংবাদপত্রে নবীন চন্দরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে খবর প্রকাশিত হয়। কিন্তু নবীনবাবু দাবি করেন, দলবদলের ঘটনাটি সত্য নয়। তৃণমূলে তাঁর বা কংগ্রেসের অন্য পঞ্চায়েত সদস্যদের যাওয়ার কোনও সম্ভবনাও নেই। কিন্তু এ দিন তিনি তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় বিস্মিত অনেকেই। অবশ্য নবীনবাবুর কথায়, ‘‘শাসক দলে না গেলে এলাকার উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই তৃণমূলে গেলাম।’’ জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র অশোক দাস বলেন, ‘‘গত পঞ্চায়েত ভোটে মান্নান হোসেনের সুপারিশ মতো তাঁর অনুগামী নবীনবাবুদের টিকিট দেওয়া হয়েছিল। মান্নান কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছেন। ফলে তাঁর অনুগামী নবীনবাবুরাও তৃণমূলে গিয়ে ভিড়লেন।’’মান্নানের দাবি, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল অনুসারে এ জেলায় তখন মাত্র ৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করতে পেরেছিল তৃণমূল। দলবদলের ফলে সেই সংখ্যাটি আজ ৮৩।’’

ওই দাবি অবশ্য নস্যাৎ করেন জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অশোক দাস। তিনি বলেন, ‘‘প্রলোভন ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার আতঙ্ক হাতিয়ার করে দল ভাঙানোয় তৃণমূলের ২২টি গ্রাম পঞ্চায়েত বেড়ে হয়েছে ৩৯টি। দল ভাঙিয়ে তৃণমূলের দখল করা ১৭টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ৫টি ছিল কংগ্রেসের দখলে। বাকি ১২টি ছিল বামফ্রন্টের দখলে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE