সৌজন্যের আবহে মুছে গেল রাজনীতির রং। এসইউসিআইয়ের দু’জন সক্রিয় কর্মী খুনের ঘটনায় প্রতিবাদে সামিল হল কংগ্রেস।
গত ৯ জুন হরিহরপাড়ার রামকৃষ্ণপুরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মারা যান এসইউসিআইয়ের প্রাক্তন প্রধান মোসলেম বিশ্বাস (৫৫) ও তাঁর ছেলে মনিরুজ্জামান বিশ্বাস (৩০)। ঘটনার সাতদিন পরেও ওই খুনের কোনও কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। ওই খুনের ঘটনার প্রতিবাদে এসইউসিআই পথ অবরোধও করেছিল। অভিযোগ, অভিযুক্তেরা শাসক দল তৃণমূলের লোক হওয়ায় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। এমন অবস্থায় ওই জোড়া খুনের ঘটনার প্রতিবাদে ও পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এলাকায় পোস্টার দিল হরিহরপাড়া ব্লক কংগ্রেস। কংগ্রেসের নেতারা নিহত ওই দু’জনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন বলেও দলীয় সূত্রে খবর।
মোসলেম ও তাঁর ছেলে মনিরুজ্জামান দু’জনেই হরিহরপাড়া রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক ছিলেন। গত ৯ জুন বিকেলে কাজ সেরে রেজিস্ট্রি অফিস থেকে মোটরবাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। বিহারিয়া মাঠে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মারা যান দু’জনেই। ওই এলাকার পাশেই বাড়ি হরিহরপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের বিলাসচন্দ্র মণ্ডলের। তিনিই প্রথম ওই ঘটনা জানতে পেরে পুলিশকে খবর দেন। নিহতদের পরিবারের সদস্য আমির হামজা মণ্ডল জানান, ব্লক কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা ঘটনার পরে তাঁদের পাশে দাঁড়ান। সমবেদনা জানান।
হরিহরপাড়া ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি মীর আলমগীর বলেন, ‘‘ওঁরা দু’জনেই এলাকায় অত্যন্ত ভাল মানুষ হিসাবে পরিচিত ছিলেন। সন্ত্রাসটা সন্ত্রাসই। এতে রাজনীতির রং দেখার কোনও কারণ নেই। ওই পরিবারের পক্ষ থেকে চার জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ কার্যত হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে। তারই প্রতিবাদে আমরা এ দিন পোস্টার দিয়েছি। প্রয়োজনে পথ অবরোধ, মিছিল-মিটিংও করব।’’
এসইউসিআইয়ের পক্ষে হরিহরপাড়া লোকাল কমিটির সম্পাদক অমল ঘোষ বলেন, ‘‘কংগ্রেস নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে। এ দিন পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে কংগ্রেস পোস্টারও দিয়েছে। পুলিশ শাসক দলের অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সঙ্কোচ করছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি মান্নান হোসেন বলেন, ‘‘অপরাধীদের পুলিশ ধরবেই। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।’’ জেলার পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, ‘‘যে চার জনের বিরুদ্ধে নিহতদের পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তারা গত এক বছর ধরে এলাকা ছাড়া। পুলিশ মূল আসামীদের ধরার চেষ্টা করছে। অপরাধীরা নিশ্চয় ধরা পরবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy