পরখ। চালু হতে ঢের দেরি। তার আগে পরখ প্রকল্প। নিজস্ব চিত্র
তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোদে শুকোচ্ছ পুকুর, খাল, বিল। হু হু করে নামছে জলস্তর। তেষ্টায় ছাতি ফাটছে। অথচ এই গরমে জলকষ্টে ভুগছেন হরিহরপাড়া ও বেলডাঙার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ।
কেউ পাঁচ কিলোমিটার দূর থেকে ভ্যানরিকশা, ট্রাক্টর ভাড়া করে জল নিয়ে আসছেন। কাউকে হাঁটতে হচ্ছে দুই থেকে চার কিলোমিটার। গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, এমনটা কিন্তু হওয়ার কথা ছিল না। এই জলকষ্ট দূর করতেই বহরমপুর লাগোয়া হরিদাসমাটিতে শুরু হয়েছিল জলপ্রকল্পের কাজ।
কিন্তু বাম আমলে শুরু হওয়া সেই প্রকল্পের কাজ এখন পর্যন্ত শেষ হয়নি। সমস্যা মেটেনি হরিহরপাড়া ও বেলডাঙা ১ ব্লকের ১৩টি পঞ্চায়েত এলাকায়। ২০০৮ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার সময় বলা হয়েছিল, পাঁচ বছরের মধ্যে কাজ শেষ হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ওই কাজ শেষ না করার অভিযোগে আগের ঠিকাদার সংস্থাকে বাতিল করে দিয়ে স্থানীয় ঠিকাদার নিয়োগ করে দ্রুত কাজ শেষ করার ব্যাপারে জোর দিয়েছে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর।
দফতরের মুর্শিদাবাদ সার্কেলের সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার অজয় কুণ্ডু জানান, শুরুতে মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ ব্লকের জন্য লালবাগের মতিঝিলে এবং হরিহরপাড়া ব্লক ও বহরমপুর পুরসভা এলাকায় জল সরবরাহের জন্য হরিদাসমাটি এলাকায় দু’টি জলপ্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকার ৩০০ কোটি টাকা অর্থ অনুমোদন করে। তার মধ্যে মতিঝিলে জলপ্রকল্পের কাজ ২০১৩ সালে শেষ হয়ে গেলেও হরিদাসমাটি প্রকল্পের কাজ এখনও শেষ করা যায়নি।
জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সূত্রে খবর, বেশ কয়েকটি জায়গায় রেল লাইন পেরিয়ে পাইপলাইন নিয়ে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে জমি জটিলতাও রয়েছে। ওই দু’টি সমস্যা সমাধানের জন্য জেলাশাসকের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে বলেও অজয় কুণ্ডু জানান। তিনি বলেন, ‘‘হরিহরপাড়া ব্লকে জল সরবরাহের জন্য ৮টি জলাধার নির্মাণের কথা রয়েছে। তার মধ্যে ৩টি জলাধার নির্মিত হয়েছে। বাকি ৫টি জলাধার নির্মাণের কাজ চলছে। কিন্তু জলাধার নির্মাণের আগেই হরিহরপাড়া ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে সরাসরি পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ করা হচ্ছে।’’
একই ভাবে বেলডাঙা-১ ব্লকে ১১টি জলাধারের মধ্যে ৩টি জলাধার নির্মাণ হলেও রেললাইন ও জাতীয় সড়কের জমি জটিলতার কারণে পাইপলাইন বসানোর কাজ সে ভাবে শুরুই হয়নি। অজয়বাবুর দাবি, আগামী ছ’মাস থেকে বছর খানেক লাগবে বেলডাঙা ১ ব্লকের ওই ১৩টি পঞ্চায়েত এলাকায় পানীয় জল পৌঁছে দিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy