E-Paper

গ্রাহকদের টাকা হাতিয়ে উধাও এজেন্ট, বিক্ষোভ

সপ্তাহখানেক আগে বিষয়টি ফাঁস হয়। ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার প্রায় ২০০ গ্রাহক। তাঁদের কারও লক্ষাধিক টাকা আবার কারো বেশ কয়েক হাজার টাকার হিসাব মিলছে না সমিতিতে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:৩৮
বিক্ষোভ চলাকালীন নদিয়ার মালিয়াপোতা কৃষি সমবায় সমিতির সামনে। বৃহস্পতিবার।

বিক্ষোভ চলাকালীন নদিয়ার মালিয়াপোতা কৃষি সমবায় সমিতির সামনে। বৃহস্পতিবার। —নিজস্ব চিত্র।

গ্রাহকদের লক্ষাধিক টাকা সমিতিতে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে এক এজেন্টের বিরুদ্ধে।

টাকা ফেরত দেওয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার তেহট্ট ১ ব্লকের মালিয়াপোতা কৃষি সমবায় সমিতির সামনে বিক্ষোভ দেখান গ্রাহকেরা। সেখানে মোতায়ন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। সমিতির ম্যানেজার টাকা ফেরতের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিলে প্রায় এক ঘণ্টা পর বিক্ষোভ থামানো হয়। ‌

বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, এলাকার বহু শ্রমজীবী মানুষ ওই সমিতিতে অ্যাকাউন্ট করে মাসে-মাসে টাকা রাখতেন। সেই টাকা মালিয়াপোতার বাসিন্দা সফিকুল ইসলাম মণ্ডল ওরফে লাল্টু নামে এক এজেন্টের মাধ্যমে সমিতিতে জমা দেওয়া হতো। কিন্তু অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে লাল্টু একাধিক গ্রাহকের টাকা সমিতিতে জমা না করে নিজে নিয়েছে। আবার অনেকের দেওয়া টাকার অর্ধেক জমা করে বাকিটা নিজের কাছে রেখেছে।

সপ্তাহখানেক আগে বিষয়টি ফাঁস হয়। ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার প্রায় ২০০ গ্রাহক। তাঁদের কারও লক্ষাধিক টাকা আবার কারো বেশ কয়েক হাজার টাকার হিসাব মিলছে না সমিতিতে। লাল্টু এলাকাছাড়া। অভিযোগ, গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করে সে পালিয়েছে।

দিনের পর দিন একাধিক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়ছে না বা কম টাকা জমা পড়ছে এটা সমিতি কর্তৃপক্ষ কেন গ্রাহকদের জানাননি, সেই প্রশ্ন উঠছে। সমিতির কিছু লোক লাল্টুর সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে বলেও অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের। তাঁদের মধ্যে সৈফুদ্দিন মণ্ডল, বদরুদ্দিন মল্লিকেরা বলেন, “আমরা দরিদ্র, শ্রমজীবী মানুষ। কত কষ্ট করে টাকা জমাই। সেই টাকা এক জন নিয়ে নিয়েছে, কিন্তু সমিতি কোনও পদক্ষেপ করছে না। সব টাকা আমাদের ফেরত দিতেই হবে।”

পরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় সমিতির ম্যানেজার জানান যে, ওই এজেন্টের বিরুদ্ধে পুলিশ-প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন এবং প্রত্যেকের জমানো সব টাকা সমিতি ফেরত দেবে। সমবায় সমিতির কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৯০ জন গ্রাহকের টাকা জমা পড়েনি। হিসাব অনুযায়ী, ১২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা ওই এজেন্ট জমা করেনি। মালিয়াপোতা কৃষি সমবায় সমিতির ম্যানেজার রফিকুল মণ্ডল বলেন,“ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এবং প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে একটা ব্যবস্থা অবশ্যই করা হবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Tehatta

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy