ছবি এপি।
নিভৃতবাসে থাকা জেলার মানুষের সংখ্যা ক্রমশ কমতে থাকায় স্বস্তি ফিরেছে স্বাস্থ্য দফতরে। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে— ভিন রাজ্য এবং ভিন দেশ ফেরত প্রায় ৪১ হাজার বাসিন্দাকে হোম কোয়রান্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট বা অন্য কোনও রোগ দেখা দিলে তাঁদের নিকটবর্তী হাসপাতালে যোগাযোগ করার নির্দেশ ছিল দ্বিতীয় ধাপ। স্বাস্থ্যকর্মী, আশাকর্মীদের মাধ্যমে তাঁদের উপর নজরদারি চলেছে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে। তারই সুফল মিলতে শুরু করেছে বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের।
সূত্রের খবর জেলায় বহিরাগত প্রায় ৩৬ হাজার পরিযায়ী শ্রমিকের হোম কোয়রান্টিনে থাকার মেয়াদ শেষ হয়েছে। ফলে তাঁদের উপর স্বাস্থ্য দফতরের নজরাদির আর কোনও প্রয়োজন নেই। বাকি প্রায় ৫ হাজার মানুষের উপরে স্বাস্থ্য দফতর নজরদারি চালাচ্ছে। প্রথম থেকে এ পর্যন্ত ২২ জনকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে কলকাতার নাইসেড থেকে তাঁদের মধ্যে ১৬ জনের করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। বাকিদের লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। কিন্তু জেলায় এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত না হওয়ায় স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে হাঁফ ছেড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।
মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, ‘‘জেলায় করোনায় কেউ আক্রান্ত হননি, এটা একটা বড় স্বস্তির জায়গা। তবে এখনও বলছি, সময় ফুরোয়নি। লকডাউনের নির্দেশিকা মেনে চলুন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। এই রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে এটাই একমাত্র উপায়।’’
পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, ‘‘সরকারি তথ্যের চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিক ঘরে ফিরেছেন। তাঁদের অনেকে স্বাস্থ্য দফতরের নজরদারির বাইরে। তবে অধিকাংশের ঘরে ফেরার মেয়াদ পার। এর পরেও কারও করোনারয় আক্রান্তের খবর না আসা অনেকেটাই স্বস্তির।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy