Advertisement
২৬ মার্চ ২০২৩
কাজ শুরু কার্নিভালের
Coronavirus

নৈহাটি থেকে আসা মহিলা করোনা কোপে

জেএনএম সূত্রে জানা যায়, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত বৃহস্পতিবার নদিয়ার কল্যাণীতে গাঁধী মেমোরিয়াল হাসপাতালে এসেছিলেন বছর চুয়াল্লিশের ওই মহিলা।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২০ ০৩:৩৬
Share: Save:

কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি নৈহাটির এক মধ্যবয়সি মহিলার করোনা ধরা পড়ল। তাঁকে নদিয়ার কোভিড ১৯ হাসপাতাল এসএনআর কার্নিভালে ভর্তি করানো হয়েছে। এই ভর্তি দিয়েই শুক্রবার কার্নিভাল কাজ শুরু করল।

Advertisement

জেএনএম সূত্রে জানা যায়, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত বৃহস্পতিবার নদিয়ার কল্যাণীতে গাঁধী মেমোরিয়াল হাসপাতালে এসেছিলেন বছর চুয়াল্লিশের ওই মহিলা। উপসর্গ দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে জেএনএম-এ পাঠানো হয়। সেখানেই আইসোলেশন ওয়ার্ডে তিনি ভর্তি ছিলেন। তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষা করতে কলকাতায় পাঠানো হয়েছিল। রবিবার বিকালে রিপোর্ট এলে দেখা যায়, তিনি করোনা পজ়িটিভ।

উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি পুরসভা সূত্রেরল খবর, মহিলার স্বামী পুরকর্মী। তাঁর করোনা ধরা পড়ার পরে গরিফা এলাকায় ১০ নম্বর ওয়ার্ড সিল করে দেওয়া হয়েছে। পুরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় জানান, খবর আসার পরেই আক্রান্তের পরিবারের সদস্যদের নিভৃতবাসে পাঠানো হয়। এলাকাটি জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে। আক্রান্তের পাড়ার লোকেদের বাড়ি থেকে বেরোতে বারণ করা হয়েছে। ওয়ার্ডের সব ক’টি বাজার ও দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুরসভাই ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ব্যবস্থা করবে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই মহিলা প্রায় এক বছর ধরে যকৃতের রোগে ভুগছিলেন। কিন্তু কী করে তিনি করোনায় আক্রান্ত হলেন, সে বিষয়ে পরিবারের সদস্যেরাও বিশদে কিছু বলতে পারেননি। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, মহিলা নৈহাটিতেই ছিলেন। বিদেশ তো দূরের কথা, ভিন্ রাজ্যের যাওয়ারও কোনও ইতিহাস নেই। গত কয়েক দিনে তিনি বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের সংস্পর্শে কারা এসেছিলেন, সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে স্বাস্থ্য দফতর। তাঁদেরও নিভৃতবাসে পাঠানো হবে।

জেএনএম-এর সুপার অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় জানান, বিকালে কল্যাণী-ব্যারাকপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে নতুন তৈরি কোভিড হাসপাতালে মহিলাকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। জেএনএমে আসার আগে গাঁধী হাসপাতালে যে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা মহিলার সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

Advertisement

গাঁধী হাসপাতালেও তো মহিলার সংস্পর্শে কয়েক জন এসেছিলেন? তাঁদেরও কি কোয়রান্টিনে পাঠানো হবে? সুপার বলেন, ‘‘ওঁকে গাঁধী হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়নি। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা তাঁকে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে জেএনএমে ’রেফার’ করেন। তবে জরুরি বিভাগে ওই দিন যাঁরা ছিলেন, তাঁদের সকলের পরীক্ষা করানো হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.