করোনা আবহে বিধি মেনে বাড়ির ছাদেই নমাজ বহরমপুরে ।
লাগাতার প্রচার। সঙ্গে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের বার বার আবেদন— তাতে সাড়া দিয়ে করোনা বিধি মেনে ইদের নমাজ হল জেলার প্রায় সর্বত্রই। শুক্রবার ইদের দিন সকাল থেকেই জেলার লালবাগ থেকে কান্দি, ডোমকল থেকে জঙ্গিপুর, হরিহরপাড়া, ফরাক্কা, বহরমপুর সর্বত্রই একই ছবি দেখা গিয়েছে।
মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার কে শবরী রাজকুমার বলেন, “প্রশাসন, স্বাস্থ্য দফতর এমনকি পুলিশের পক্ষ থেকে কোভিড বিধি মেনে নমাজ পড়ার অনুরোধ করা হয়েছিল সকলকে। মুখে মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে প্রচার করা হচ্ছে। আজও একই ভাবে প্রচার করা হয়েছে। ভাল লাগছে, সাধারণ মানুষ আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়েছেন। কোভিড এখন আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। মানুষও এর বিপদ সম্পর্কে অবহিত হয়েছেন।”
জেলার মধ্যে অন্যতম বড় ইদের নমাজ হয় লালবাগের আস্তাবল ময়দানে। আশপাশের এলাকার কয়েক হাজার মানুষ ওই ময়দানে অন্যবার নমাজ পড়েন। কিন্তু করোনা আবহে এদিন সেখানে নমাজ হয়নি। ইমাম-মোয়াজ্জিনদের আবেদন মেনে অনেকে ভিড় এড়াতে কয়েক জন মিলে বাড়ির ছাদে নমাজ পড়েন। প্রায় সব জায়গাতেই মুখে মাস্ক পরে, দূরত্ববিধি বজায় রেখে তাঁরা নমাজ পড়েন। শুধু তা-ই নয়, সংক্রমণ এড়াতে কোলাকুলি, মোসাফাও (করমর্দন) এড়িয়ে যান অনেকে। ইমাম ও মোয়াজ্জিন সংগঠনের জেলার সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “কোভিড বিধি মেনেই নমাজ হয়েছে। জেলা জুড়েই ছোট ছোট ভাবে জমায়েত করে নমাজ হয়েছে। ইদের আগের কয়েক দিন জেলা জুড়ে প্রতিটি মসজিদ থেকে বলা হয়েছিল, যাতে সকলে বাড়িতেই নমাজ পড়েন।’’
তবে এদিন নিয়ম ভাঙতে দেখা গিয়েছে পথচারীদের। জানা গিয়েছে, সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়লেও অনেক জায়গাতেই কমবয়সীদের মুখে মাস্ক ছাড়াই বাইক নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে। মুখে মাস্ক ছাড়াই একটি বাইকে ঠাসাঠাসি করে তিন কিংবা চারজনকে রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে। শুধু করোনা বিধিই লঙ্ঘন নয়, পথনিয়মের তোয়াক্কা না করে হেলমেট ছাড়াই তারা বেরিয়ে পড়েছিল।
অনেক জায়গায় পুলিশ বাইক আরোহীদের থামিয়ে মুখে মাস্ক পরে নেওয়ার জন্য বলে। সেই মুহূর্তে তারা শুনলেও ফের নিয়ম ভাঙার ঘটনা আকছার ঘটেছে। বহরমপুর, কান্দি, লালবাগ, হরিহরপাড়া, নওদার শহর এলাকায় কোভিড বিধি মেনে ইদের নমাজ হলেও গ্রামীণ এলাকায় অনেক জায়গাতেই ইদের নমাজে সেই বিধি মেনে চলা হয়নি বলে দাবি করেছেন প্রশাসনের কর্তারাা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy