Advertisement
E-Paper

কোন দোকান খুলবে, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তুঙ্গে

তৃতীয় পর্বে লকডাউন কিছুটা শিথিল করে বেশ কিছু বিষয়ে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, ৪মে থেকে ওই ছাড় কন্টেনমেন্ট জোন ছাড়া সর্বত্র কার্যকর হবে।

দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২০ ০৬:০৩
মঙ্গলবার কৃষ্ণনগরের রাস্তায়। নিজস্ব চিত্র

মঙ্গলবার কৃষ্ণনগরের রাস্তায়। নিজস্ব চিত্র

লকডাউনের তৃতীয় পর্বে দোকান এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খোলার সরকারি ঘোষণাকে ঘিরে জেলায় বিভ্রান্তি ছড়ালো।

তৃতীয় পর্বে লকডাউন কিছুটা শিথিল করে বেশ কিছু বিষয়ে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, ৪মে থেকে ওই ছাড় কন্টেনমেন্ট জোন ছাড়া সর্বত্র কার্যকর হবে। দোকান বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খোলার ওই নির্দেশিকার যে অংশটি নিয়ে ব্যবসায়ীরা বিভ্রান্ত তা হল, ‘স্ট্যান্ড অ্যালোন শপ’। যে সব দোকান কোনও বাজার এলাকা বা ‘পট্টির’ মধ্যে আছে অর্থাৎ পাশাপাশি একসঙ্গে অনেকগুলি দোকান রয়েছে সেগুলি স্ট্যান্ড অ্যালোন হিসেবে গণ্য হবে কিনা অনেকেই বুঝতে পারছেন না। নবদ্বীপের পোড়ামাতলা বা বড় বাজারের সোনাপট্টির ব্যবসায়ীরা দোকান খুলতে পারবেন কিনা, অথবা কৃষ্ণনগরের পোষ্টঅফিস মোড়ে সান্যাল মার্কেট বা জজকোর্টের সামনে সারিবদ্ধ দোকান, রানাঘাট বা চাকদহের স্টেশন রোডের সারিবদ্ধ দোকান, করিমপুরের পুরানো বাসস্ট্যান্ড মার্কেটের মতো জায়গায় থাকা দোকান খোলা যাবে কিনা, তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে।

এই দ্বিধা নিয়েই সোমবার থেকে রানাঘাট, চাকদহ, কৃষ্ণনগর, নবদ্বীপ, শান্তিপুর প্রভৃতি জায়গায় কিছু কিছু দোকান খুলতে শুরু করেছে। লকডাউনে এত দিন প্রধানত ওষুধ, মুদিখানা এবং মিষ্টির দোকান খোলা ছিল। সোমবার থেকে সর্বত্র কাপড়, জুতো, প্রসাধনী দ্রব্য-সহ বিভিন্ন দোকান খুলে যায়। প্রচুর মানুষ রাস্তায় নেমে পড়েন। টোটো বাইকে ভরে যায় রাস্তা। এই প্রসঙ্গে নদিয়া ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্টিজের সভাপতি হরিদাস দে বলেন, “নির্দেশিকা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। স্ট্যান্ড অ্যালোন কথার মানে আমরা বুঝতে পারছি না। বেথুয়াডহরি অঞ্চলে সোমবার থেকে পুলিশি তৎপরতা বেশি চোখে পড়ছে। বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ীরা আলোচনায় করছেন।”

চাকদহ সেন্ট্রাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুবল দেবনাথ বলেন, “আমাদের সংগঠনের অধীনে ৭৫টি বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন আছে। প্রায় ১৫ হাজার সদস্য সংখ্যা। তাঁরা আমাদের প্রশ্ন করছেন। পট্টি যদি খোলা না যায় তা হলে শতকরা নব্বই শতাংশ ব্যবসায়ীর এই নির্দেশে কোনও লাভ হবে না।” নদিয়া ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্টিজের যুগ্ম সম্পাদক গোকুলবিহারী সাহা এবং তারক দাসের প্রশ্ন “স্ট্যান্ড অ্যালোন দোকানের মধ্যে কি বিভিন্ন বড় বড় শোরুম পড়বে? ফুটপাথের ধারে বড় বড় মার্কেট রয়েছে সেগুলির কী হবে?’

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy