ধর্ষণের অভিযোগে এ বার জড়িয়ে গেল শাসক দলের এক নেতার নাম।
কুপার্স নোটিফায়েড এলাকায় অভিযুক্ত ওই নেতার দাপট যে প্রবল, স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে জেলা পুলিশের মনোভাবেও তা স্পষ্ট।
আর সে জন্যই, স্থানীয় এক নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলারের স্বামী সমীর দে’কে পুলিশ অবশ্য অভিযোগ পেয়েও গ্রেফতার করেনি। কেন?
জেলা পুলিশ সুপার শিসরাম ঝাঝারিয়া আমতা আমতা করে বলছেন, ‘‘অভিযোগ পেয়ে একটা মামলা শুরু হয়েছে এর বেশি কিছু বলতে পারব না।’’
কিন্তু সমীরের বিরুদ্ধে কী এমন অভিযোগ?
চাকরি দেওয়ার নাম করে স্থানীয় এক তরুণীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে সমীরের বিরুদ্ধে। সঙ্গে রয়েছে, পুলিশে নালিশ জানানোয় মারধর করার নালিশও। বুধবার রাতে সমীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে পড়শি ওই তরুণী। সে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষা বিভাগের ছাত্রী। তাঁর অভিযোগ, “প্রায় তিন বছর ধরে আমাকে চাকরি দেবে বলে ঘোরাচ্ছিলেন সমীরবাবু। আর এই তিন বছরে একাধিকবার আমার উপরে অত্যাচার চালিয়েছেন তিনি।’’
সমীর অবশ্য তা মানতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমার চাকরি দেওয়ার ক্ষমতাই নেই। কেন আমি মিথ্য়ে প্রতিশ্রুতি দিতে যাব!’’
তাঁর স্ত্রী এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরও বলছেন, “আমার সঙ্গে ওই মেয়েটির এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে ঠিকই। তবে ওঁকে মারধর করার প্রশ্নই নেই।’’
তবে, বুধবার ওই তরুণীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর কথা ছিল। তাঁকে রানাঘাট মহকুমার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, পরীক্ষা করাতে রাজি হননি তিনি।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কুপার্স ক্যাম্প নোটিফায়েডে সমীরের প্রতিবেশি ওই তরুণী। বছর কয়েক আগে সে সমীরবাবুর ছেলেকে টিউশন পড়াত। দুই পরিবারের পরিচয় তাই বেশ পুরনো। তরুণীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই সূত্রে তরুণীকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছিলেন তিনি।
তারপর থেকেই শুরু হয়েছিল ‘অত্যাচার’। চাকরির আশায় এত দিন সে ব্যাপারে মুখ খুলতে পারেনি ওই তরুণী বলে পুলিশকে জানান তিনি।
অভিযুক্ত সমীর কুপার্স ক্যাম্প নোটিফায়েডের চতুর্থ শ্রেনীর কর্মী।
নোটিফায়েডের চেয়ারম্যান শিবু বাইন অবশ্য বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে দল নাক গলাবে না। আইন আইনের পথে চলবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy