গরমে হাসফাস ডোমকলের রাস্তায়। ছবি : সাফিউল্লা ইসলাম
ভোটে হারলে খেল খতম, পয়সা হজম এমনটা নয়। তাঁর কাছে ভোট মানে একটা যুদ্ধ। সেই যুদ্ধে কেউ হারবে, কেউ জিতবে। কিন্তু লড়াই জারি থাকবে। সোমবার বিকেলে রানিনগর স্কুল মাঠে একটি কর্মিসভায় এমনই বললেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমাদের মনে রাখতে হবে বড় একটা অংশের মানুষ প্রাণের বাজি রেখে নির্বাচনে কাজ করেছেন। বিশেষ করে নতুনদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি জেলায়। যাঁরা অল্প বয়সি, এ বারের নির্বাচনে প্রথম এলেন। আমার মনে হয়েছে, তাঁদের সঙ্গে দেখা করা দরকার। অল্পবয়সী অনেকেই ভেঙে পড়েছেন ভোটের ফলাফলে। তাঁদের আমাদের বোঝাতে হবে।’’ তৃণমূল যদিও দাবি করেছে, ভোটের ফল যা হওয়া উচিত ছিল, তাই হয়েছে।
এ দিনের ওই সভায় সেলিম বলেন, ‘‘একটা নির্বাচনে অনেকগুলো বিষয় কাজ করেছে। কিছু কিছু বিষয় আছে যেগুলো আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না।’’ তিনি বলেন, ‘‘অনেক কিছু ভিতরে ভিতরে হয়েছে, যেগুলো আমরা খালি চোখে দেখতে পাইনি। তবে আপনাদের উদ্দেশ্যে বলছি, গোটা দেশে বিজেপি অনেকটা পিছিয়েছে। আর বিজেপির পেছানো মানেই তৃণমূলের দিন শেষ। যে কেউটেকে দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে সেই কেউটে যদি না থাকে, সেই কেউটের বিষ দাঁত যদি ভেঙে দেওয়া যায়, তা হলে আগামী দিনে তৃণমূল আর কেউটের ভয় দেখিয়ে ভোট নিতে পারবে না।
তাঁর আরও দাবি, ‘‘আমাদের লড়তে হয়েছে ৬টা এমের বিরুদ্ধে। মোদি, মমতা, মানি, মিডিয়া, মাসল পাওয়ার এবং মেশিনারির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে আমাদের।’’ তা ছাড়া, পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, ‘‘যাঁদের রেফারির ভূমিকায় থাকা দরকার তাঁরা কেউ কেউ গোলরক্ষক হয়ে গেলেন, কেউ আবার একেবারে তৃণমূলের হয়ে স্টপারের ভূমিকা নিয়ে নিলেন।’’ তবে তাঁর দাবি রাজ্যের মধ্যে একমাত্র বিধানসভা রানিনগর যেখানে বামপন্থীরা এগিয়ে আছে। তিনি বলেন, ‘‘হেলিকপ্টারের সঙ্গে টোটোর লড়াই হয়েছে এ বারের নির্বাচনে। ওরা বড় বড় কোম্পানির কাছ থেকে টাকা তুলেছে, হেলিকপ্টারে করে ঘুরে বেড়িয়েছে। আমরা টোটোয় ঘুরেছি।’’
রানিনগরের বিধায়ক তৃণমূলের সৌমিক হোসেন বলেন, ‘‘সামান্য ভোটেই বামেরা এগিয়ে, তা নিয়ে উৎফুল্ল হওয়ার কিছু নেই। বরং পঞ্চায়েতের তুলনায় ভোট কমেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy