E-Paper

দুয়ারে সরকারে সাহায্যের হাত বাড়াচ্ছেন সিপিএম নেতারাও

গত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবিরগুলিতে উপস্থিত থেকে সিপিএমের নেতা, সিপিএমের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, কর্মীরাও উপভোক্তাদের আবেদনপত্র পূরণ করে দিচ্ছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:২৪
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

দুয়ারে সরকার শিবিরে উপস্থিত থেকে উপভোক্তাদের আবেদনপত্র পূরণ করে দিচ্ছেন সিপিএমের নেতারাও। রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মতে, দুয়ারে সরকার শিবিরে জনসংযোগ বাড়াতে তৎপর সিপিএম।

গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে নবম পর্যায়ের ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির। চলবে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। জেলার প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত, পুর এলাকায় প্রতিদিন একাধিক শিবির অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রশাসনের তরফে ভ্রাম্যমাণ শিবিরও খোলা হয়েছে।

গত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবিরগুলিতে উপস্থিত থেকে সিপিএমের নেতা, সিপিএমের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, কর্মীরাও উপভোক্তাদের আবেদনপত্র পূরণ করে দিচ্ছেন। সিপিএম নেতাদের দাবি, সাধারণ মানুষ যাতে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন তার জন্যই এই উদ্যোগ। বুধবার হরিহরপাড়ার মালোপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মালোপাড়া হাইস্কুল, চোঁয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চোঁয়া বিবি পাল বিদ্যানিকেতনে শিবির বসেছিল। সেখানে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলেরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, নেতাকর্মীদের পাশাপাশি পৃথক ভাবে হলেও সিপিএম নেতা-কর্মীদেরও আবেদনপত্র পূরণ করে দিতে দেখা গিয়েছে।

সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য, ডিওয়াইএফ-এর হরিহরপাড়া এরিয়ার প্রাক্তন সম্পাদক সঞ্জয় ঘোষ এ দিন মালোপাড়ার শিবিরে উপস্থিত ছিলেন। সঞ্জয়ের দাবি, ‘‘সিপিএমের পক্ষ থেকে বিনা মূল্যে আবেদন পূরণের জন্য তিনটি টেবিল রাখা হয়েছিল।’’ মালোপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএমের প্রতীকে জেতা সদস্য ইলিয়াস শেখ, হাসিবুর ইসলাম-সহ অন্য স্থানীয় কর্মীরাও আবেদনপত্র পূরণের কাজ করেছেন। চোঁয়ার শিবিরে দেখা গিয়েছে এসএফআইয়ের জেলা সভাপতি ইনজামামউল হক রানাকে। ইনজামামউল বলেন, “অনেক সাধারণ মানুষ আবেদনপত্র পূরণ করতে পারেন না। শিবিরের বাইরে অনেকে ২০ টাকা নিয়ে আবেদনপত্র পূরণ করে দিচ্ছেন। অনেক মানুষের টাকা দেওয়ার সামর্থ্য নেই। ফলে আমরা বিভিন্ন শিবিরে উপস্থিত থেকে রাজনীতির রং না দেখে বিনা মূল্যে আবেদন পত্র পূরণ করে দিচ্ছি।”

তৃণমূল বিধায়ক নিয়ামত শেখ বলেন, “সিপিএমকে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন। এ সব করে কাজ হবে না।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Murshidabad Duare sarkar

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy