নাইট-শো: করিমপুর রেগুলেটেড মাঠে চলছে খেলা। নিজস্ব চিত্র
খেলা এক দিনের। কিন্তু আড়ে-বহরে-জেল্লায়-হইচইয়ে ঠিক যেন আইপিএল!
পিলপিল করে লোকজন ঢুকতে শুরু করেছিল বিকেলের পর থেকে। সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ মাঠ কানায় কানায় ভর্তি। কেউ সঙ্গে করে বেঁধে এনেছেন রাতের খাবার। কেউ আবার বলে রেখেছেন স্থানীয় হোটেলে। শনিবার রাতভর খেলা দেখে দর্শকেরা বাড়ি ফিরেছেন রবিবার দুপুরে।
চেনা করিমপুর রেগুলেটেড মার্কেটের মাঠটাও এ দিন অচেনা হয়ে গিয়েছিল। চার পাশে বসানো জোরালো আলোয় ভেসে গিয়েছে গোটা মাঠ। সরাসরি খেলা দেখার জন্য বাউন্ডারির পাশে বসানো হয়েছিল জায়ান্ট স্ক্রিন। আউট নিয়ে বিতর্ক এড়াতে নেওয়া হয়েছে ভিডিও ক্যামেরার সাহায্য। কিন্তু মাঝ চৈত্রে নৈশ ক্রিকেট কেন?
আয়োজক সংস্থা করিমপুর জামতলা নবারুণ সঙ্ঘের সম্পাদক মাকু বিশ্বাস জানান, প্রতি বছর ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত সাব জুনিয়র, জুনিয়র, সিনিয়র প্রথম ডিভিশন ও সিনিয়র দ্বিতীয় ডিভিশনের খেলা চলে। এলাকায় মাঠের সংখ্যা কমে যাওয়ায় খেলা শেষ করতে সময় লেগে যায়। তাই এখন ওই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হল। গরমের কথা মাথায় রেখেই রাতে খেলার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
নদিয়া ও মুর্শিদাবাদের মোট ১৬টি দল যোগ দিয়েছিল। চ্যাম্পিয়ন দল নরসিংহপুর দেশবন্ধু কিশোর সঙ্ঘকে ‘শ্রীচাঁদ জৈন মেমোরিয়াল চ্যাম্পিয়ন ট্রফি’ ও রানার্স দল করিমপুর লুজার্স একাদশকে দেওয়া হয়েছে ‘অঞ্জলি সরখেল রানার্স ট্রফি’।
তেতে উঠছে মাঠ, গলা শুকিয়ে কাঠ। আর সেই চাঁদিফাটা রোদ উপেক্ষা করেই টি-২০ চলছে ডোমকলেও। ডোমকল সেবা সঙ্ঘের পরিচালনায় নদিয়া ও মুর্শিদাবাদের মোট ৮ টি দলকে নিয়ে স্থানীয় বিটি মাঠে দিন কয়েক আগে থেকেই শুরু হয়েছে ওই প্রতিযোগিতা। কর্মকর্তাদের দাবি, এ বছর ক্রিকেট লিগ হয়নি ডোমকলে। ফলে ক্রিকেটাররা মুখিয়েই ছিল। তাই গরমকে উপেক্ষা করেই চলছে খেলা। খেলার মাঝে মাঝে বিশ্রাম। ক্লাব কর্তা সোহেল রানা শামিম বলছেন, ‘‘আইপিএলের সৌজন্যে আমাদের এই খেলা আরও জমে গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy