প্রতীকী ছবি।
আদালতের নির্দেশে বৃদ্ধর দেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তে পাঠাল পুলিশ। মৃত্যুর প্রায় আড়াই মাস পর কবর থেকে মৃতদেহ তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই নির্দেশ মেনে শুক্রবার নদিয়ার চাপড়ার বিডিও দীনেশ দে এবং চাপড়ার থানার আইসি তুষারকান্তি বিশ্বাসের উপস্থিতিতে কবর থেকে দেহ তোলা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চাপড়ার খ্রিস্টানপাড়ার বাসিন্দা নেপাল মণ্ডলের (৬২)সঙ্গে তার ছোট ছেলে মন্টুর সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চলছিল। গত ২৭ জুন বিবাদের সময় ধস্তাধস্তিতে নেপাল অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের লোকজন তাঁকে চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসার পরে বাড়ি ফিরে এসে তাঁর মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্ত না করেই পরিবারের লোকজন দেহ পরের দিন সমাধিস্থ করেন।
দেড় মাস আগে মৃতের স্ত্রী খুশি মণ্ডল আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন, তাঁর পুত্র ও পুত্রবধূর অত্যাচারে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। গত ১৪ অগস্ট কবর থেকে দেহ তুলে ময়নাতদন্ত করার জন্য চাপড়া থানাকে নির্দেশ দেয় আদালত। সেই নির্দেশ মেনে কবর খুঁড়ে দেহ তুলে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
নেপালের বড় ছেড়ে পিন্টু শনিবার বলেন, ‘‘বাবাকে সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য ভাই (মন্টু) চাপ দিত। এ নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে অশান্তি চলছিল। ওই দিন বচসার সময় বাবাকে মারধর করে ভাই। এর ফলে বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে চিকিৎসা করে বাড়ি ফিরে আসার পর বাবার মৃত্যু হয়। পরে মা ভাইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy