রানাঘাট কলেজে বিতর্ক প্রতিযোগিতা। বৃহস্পতিবার। ছবি সুদেব দাস।
যুব সমাজকে অনুপ্রাণিত করতে ও বিভিন্ন সমালোচকমূলক বিষয়ে তাঁদের যুক্তিশীল হওয়ার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার রানাঘাট কলেজে হয়ে গেল এক বিতর্ক প্রতিযোগিতা। ফেডারাল ব্যাঙ্ক হরমিস মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন, আনন্দবাজার পত্রিকা এবং টেলিগ্রাফ পত্রিকার প্রচেষ্টায় 'ভারতের জন্য বলো' (স্পিক ফর ইন্ডিয়া) নামে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ৭৭ জন প্রতিযোগী যোগ দেন। তাঁদের মধ্যে সেরা দশ জনের হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়।
‘গ্লোবাল ওয়ার্মিং যতটা বিজ্ঞান, তার থেকে বেশি আবেগ’, ‘ক্রিকেটে অতিরিক্ত গুরুত্ব ভারতীয় ক্রীড়ার জন্য ক্ষতিকারক’, ‘মানুষের সৃজনশীলতায় প্রতিবন্ধকতা এআই’, ‘আইপিএল: ক্যাসিনো বেশি ক্রিকেট কম’— এই চারটি বিষয়ে এ দিন বিতর্ক সভায় নিজেদের মতামত প্রকাশ করেন প্রতিযোগীরা। বিচারক হিসেবে ফেডারেশনের পক্ষে ছিলেন অয়ন ভৌমিক ও প্রদ্যুৎ চন্দ্র। এ ছাড়াও ছিলেন ক্যালকাটা ডিবেট সার্কেলের প্রীতম চট্টোপাধ্যায়, রাহুল দত্ত, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুমিত মুখোপাধ্যায় ও রানাঘাট কলেজের শিক্ষক কাকলি রায়।
‘স্পিক ফর ইন্ডিয়া’ নামের এই বিতর্ক সভা আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ছিল এমন একটি সাংস্কৃতিক পরিবেশ গড়ে তোলা, যেখানে তরুণ প্রজন্ম সমসাময়িক বিষয়ে অবহিত থাকতে পারবেন এবং নিজেদের মতামত যুক্তি-তর্কের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে পারবেন। সমগ্র প্রতিযোগিতাকে চারটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমে ২৩টি জেলা, সেখান থেকে জ়োন, তার পর সেমিফাইনাল ও ফাইনাল স্তরে প্রতিযোগীদের যোগ দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
এ দিনের বিতর্ক সভার বিচারক রাহুল দত্ত বলেন, ‘‘প্রতিযোগীদের অধিকাংশই এ দিন প্রথম বার বিতর্ক সভায় যোগ দিয়েছেন। এটা কখনওই কাম্য নয়। এই ধরনের বিতর্ক সভা, বিশেষ করে মফস্সল এলাকাগুলিতে বেশি হওয়া প্রয়োজন।" তাঁর কথায়, "শুধু প্রতিযোগিতা নয়, সভায় কী ভাবে নিজেদের মত প্রকাশ করতে হয়, বাচনভঙ্গি, দর্শক আসনে থাকা ব্যক্তিদের আকর্ষণ ইত্যাদি বিষয়গুলি শেখা প্রয়োজন।" প্রতিযোগীরা বলেন, ‘‘যে চারটি বিষয়ের উপর বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল, তা বর্তমান সময় গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের শিক্ষণীয় প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়াটাই বড় বিষয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy