E-Paper

পরপর অগ্নিকাণ্ড, দমকল কেন্দ্রের দাবি উঠল

গত শনিবার বিহারিয়া পঞ্চায়েতের কাঞ্চননগরে পুড়ে গিয়েছে চারটি বাড়ি। ক্ষতিগ্রস্ত হয় পাশাপাশি পাঁচটি বাড়ি। ওইদিন বিকেলে রুকুনপুর মাঠপাড়ায় পুড়ে গিয়েছে পাশাপাশি চারটি বাড়ি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:০৮
জল ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টায় স্থানীয়রা। হরিহরপাড়ায়।

জল ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টায় স্থানীয়রা। হরিহরপাড়ায়। নিজস্ব চিত্র।

গত কয়েক দিন বেশ কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে হরিহরপাড়ায়। ভস্মীভূত হয়েছে একাধিক বাড়ি। পুড়ে গিয়েছে মুরগির খামার। নষ্ট হয়েছে বিঘার পর বিঘা খেতের গম। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্থানীয় বাসিন্দারাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছেন। অনেক ক্ষেত্রে দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছনোর আগেই পুড়ে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে একাধিক পরিবার। অনেকেরই বক্তব্য, বহরমপুর থেকে দমকলের গাড়ি আসতে অনেক সময় নিয়ে নেয়। যার জেরে কিছুই আগুন থেকে বাঁচানো যায় না। এলাকায় দমকল কেন্দ্র থাকলে এমন পরিস্থিতি হত না।

গত শনিবার বিহারিয়া পঞ্চায়েতের কাঞ্চননগরে পুড়ে গিয়েছে চারটি বাড়ি। ক্ষতিগ্রস্ত হয় পাশাপাশি পাঁচটি বাড়ি। ওইদিন বিকেলে রুকুনপুর মাঠপাড়ায় পুড়ে গিয়েছে পাশাপাশি চারটি বাড়ি। দু’টি ঘটনাতেই পাম্প বসিয়ে পুকুর থেকে জল তুলে বা পড়শির বাড়ির জল তোলার পাম্প ব্যবহার করে আগুন নেভানোর চেষ্টা হয়। অভিযোগ, দু’ জায়গাতেই বহরমপুর থেকে দমকলের গাড়ি অনেক দেরিতে এসে পৌঁছয়। বিহারিয়ার বাসিন্দা জসিমুদ্দিন শেখ বলেন, “দমকল পৌঁছনোর আগেই যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে যাচ্ছে। হরিহরপাড়ায় স্থায়ী ভাবে অন্তত দমকলের একটি ইঞ্জিন থাকার ব্যবস্থা করা উচিত।”

হরিহরপাড়া থেকে বহরমপুরের দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। গত কয়েক দিনে হরিহরপাড়ার অনেক প্রত্যন্ত এলাকাতেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আগুন লাগার কমপক্ষে এক থেকে দেড় ঘণ্টা পরে দমকলের ইঞ্জিন এসে পৌঁছেছে বলে অভিযোগ। এর প্রেক্ষিতে সমাজমাধ্যমেও হরিহরপাড়ায় দমকল কেন্দ্র স্থাপনের দাবিতে সরব হয়েছেন অনেকে।

তৃণমূলের একটি সূত্রে দাবি, ২০২৩ সালে মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফরে এলে হরিহরপাড়ায় দমকল কেন্দ্র স্থাপনের আবেদন করেছিলেন স্থানীয় বিধায়ক নিয়ামত শেখ। এ দিন নিয়ামত বলেন, “দমকল কেন্দ্র তৈরি না করা গেলেও থানা বা ব্লক অফিসে যাতে কর্মী-সহ দমকলের একটি ইঞ্জিন রাখার ব্যবস্থা হয়, সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও দমকলমন্ত্রীর কাছে আবেদন করব।” হরিহরপাড়ার বিডিও ছেরিং জাম ভুটিয়া বলেন, “গত কয়েক দিনে কয়েকটি আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করেছে প্রশাসন।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Hariharpara

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy