Advertisement
E-Paper

JNM Hospital: মারধরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ জেএনএমে

জুনিয়র চিকিৎসক ও পড়ুয়াদের অভিযোগ, হাসপাতালে বারবার এই ঘটনা ঘটায় তাঁরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৮:০৬
মারধরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ জেএনএমে

মারধরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ জেএনএমে

চিকিৎসা হচ্ছে না এই অভিযোগ তুলে এক জন হাউজ স্টাফ ও এক জন সিনিয়র রেসিডেন্সকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল এক রোগীর পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে বিক্ষোভ দেখালেন জেএনএম হাসপাতালের জুনিয়র ও পড়ুয়া চিকিৎসকেরা।

দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ চলার পর বিকালের দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, কল্যাণী মহকুমাশাসক, পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে আশ্বাস দেওয়া দেন এই রকম ঘটনা যাতে না ঘটে সে দিকে নজর রাখা হবে। সেই সঙ্গে তাঁদের যে দাবিদাওয়া রয়েছে সেগুলো নিয়েও আলোচনা করা হবে। আশ্বাস পাওয়ার পরে বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভ তুলে নেন।

পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় রোগীর সঙ্গে আসা তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ দিন তাদের কল্যাণী কোর্টে তোলা হলে জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, এক রোগীর চিকিৎসা চলাকালীন শুক্রবার ‘মেল সার্জিক্যাল ওয়ার্ড’-এ জনা পনেরো লোক ঢুকে দাবি করে তাদের রোগীকে দেখা হচ্ছে না। তার পর এক জন হাউজ স্টাফ ও এক জন সিনিয়র রেসিডেন্সকে মারধর করে। তারই প্রতিবাদ জানিয়ে জুনিয়র ও পড়ুয়া চিকিৎসকেরা শুক্রবার সকালে জরুরি বিভাগের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন।
জুনিয়র চিকিৎসক সৌম্য ঘরামি বলেন, ‘‘এই ধরনের ঘটনা আগেও বারবার ঘটছে। তার কোনও মীমাংসা হয়নি। এ বার যতক্ষণ পর্যন্ত এই ঘটনার সমাধান হচ্ছে, ততক্ষণ আমরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাব।’’ যদিও রোগীর সম্পর্কের কাকা সাইফুল মণ্ডল বলেন, ‘‘দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় দু'জনকে। একজনকে সেলাই করার সময় একটু নড়াচড়া করতেই চিকিৎসক গালে চড় মারেন। এই নিয়ে ঠেলাঠেলি হয়েছে। মারা হয়নি।’’

জুনিয়র চিকিৎসক ও পড়ুয়াদের অভিযোগ, হাসপাতালে বারবার এই ঘটনা ঘটায় তাঁরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। রোগীর সঙ্গে দু’জন মানুষ ওয়ার্ডে ঢুকতে পারেন। সেখানে ১৫ জন কী করে ঢুকল সেই প্রশ্ন তাঁদের। তাঁরা জানান, প্রত্যেকটা গেটেই নিরাপত্তা রক্ষী থাকার কথা। এ ছাড়া হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টার জন্য এক জন করে কর্মরত পুলিশ নেই। তাঁরা জানান, ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা আর তার পরিবর্তে এই ভাবে হেনস্থা হতে হচ্ছে।

জেএনএম ছাত্র সংগঠনের সভাপতি সালমান হালদার বলেন, ‘‘আমরা সাময়িক ভাবে বিক্ষোভ তুলে নিচ্ছি। আমাদের যা দাবিদাওয়া ছিল সেগুলো সোমবারের মধ্যে কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়িত করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। যদি না হয় আবার আন্দোলনে নামব।’’
সুপার অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জুনিয়র চিকিৎসক এবং পড়ুয়া চিকিৎসকরা যে সমস্ত দাবিদাওয়া করেছেন, সেগুলো নিয়ে আলোচনায় বসা হচ্ছে। প্রশাসনের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি হাসপাতালের নিরাপত্তা বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’

JNM Hospital Protest demonstration
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy