E-Paper

রানিনগর জুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি

দিন কয়েক আগে এক ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে রানিনগর ১ ব্লকের নেতাজি পার্ক এলাকায়। আর তারপর ডেঙ্গি নিয়ে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।

সুজাউদ্দিন বিশ্বাস

শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:২৫
রানিনগর হাসপাতাল চত্তরে জল।

রানিনগর হাসপাতাল চত্তরে জল। আর তাতেই মশা।

রানিনগর ১ ব্লকের পাশাপাশি রানিনগর ২ ব্লকেও চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি। সংখ্যাটা ৭০ পেরিয়েছে সেখানে। যদিও ব্লকের স্বাস্থ্য কর্তারা বলছেন, প্রথম থেকে বেশি বেশি করে টেস্ট হয়েছে বলেই সংখ্যাটা বেশি রানিনগর দুই ব্লকে। যদিও স্বাস্থ্যকর্তারা যাই সাফাই দিন না কেন, খোদ রানিনগরের গোধনপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালের সামনেই জল জমে আছে দীর্ঘ দিন ধরে। রোগীর আত্মীয় থেকে হাসপাতালে আসা সাধারণ মানুষের দাবি, হাসপাতালে মূল গেটের আশপাশেই মশার আঁতুড় ঘর। সেখানেই দেখা যাচ্ছে মশার লার্ভা। ব্লকের অন্যান্য প্রান্ত দূরের কথা, হাসপাতাল চত্বর নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে সেখানে।

দিন কয়েক আগে এক ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে রানিনগর ১ ব্লকের নেতাজি পার্ক এলাকায়। আর তারপর ডেঙ্গি নিয়ে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। তবে ওই ঘটনার পর একেবারে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন ব্লক প্রশাসন থেকে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। ওই ব্লকে প্রতিনিয়ত ফিভার ক্যাম্প করা হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। মঙ্গলবার ইসলামপুর থানা চত্বরেও ক্যাম্প করে চিকিৎসা করা হয়েছে রোগীদের, পরীক্ষা করা হয়েছে রক্ত। হাসপাতালের করোনা বিভাগকে খুলে দেওয়া হয়েছে ডেঙ্গি রোগীদের জন্য। কিন্তু ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেশি থাকলেও সেই অর্থে তেমন কোনও প্রচার বা ফিভার ক্যাম্প করা হয়নি রানিনগর ২ ব্লক এলাকায়। রানিনগরের বিএমওএইচ শামিম আখতার বলেন, ‘‘আমাদের এলাকায় বেশি বেশি টেস্ট হয়েছে বলেই আক্রান্তের সংখ্যা বেশি ধরা পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে, আমাদের এখানে। ফিভার ক্যাম্প না হলেও আউটডোরে চিকিৎসা চলছে। মাঠে নেমেছেন আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা।’’ আর খাস হাসপাতালেই জমা জল নিয়ে তাঁর দাবি, ‘‘একটি জলের ট্রাঙ্ক উপচে জল জমছে ওই এলাকায়। বিষয়টি জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে আমরা জানিয়েছি, এখনও পর্যন্ত ফিডব্যাক কিছু পাওয়া যায়নি।’’

ওই গ্রামীণ হাসপাতালের একেবারে প্রধান ফটকের সামনেই সোমবার দেখা গিয়েছে জমে আছে জল। আর যা দেখিয়ে রোগীর আত্মীয়-স্বজনরা বলছেন দীর্ঘ দিন থেকেই ওই এলাকায় জল জমে আছে এবং তার উপরেই দেখা যাচ্ছে মশার লার্ভা। ফলে প্রশ্ন উঠছে স্বাস্থ্য দফতরের তৎপরতা নিয়ে। সাধারণ মানুষের দাবি, অনেক সময় স্বাস্থ্য দফতর সাধারণ মানুষের সচেতনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। জল জমা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। অথচ খোদ হাসপাতাল চত্বরের অবস্থাই করুণ। রানিনগরের বাসিন্দা হাসান মণ্ডল বলছেন, ‘‘নিজেদের দায় ঢাকতে স্বাস্থ্য দফতর অনেক সময় সাধারণ মানুষের গায়ে দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে। অথচ হাসপাতাল চত্বর মশার আঁতুড়ঘর হয়ে আছে। সাধারণ রোগীরাও হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মশার কামড়ে অতিষ্ঠ।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Raninagar Dengue

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy