Advertisement
০২ মে ২০২৪
Corona Virus New variant

কোভিড রুখতে ফিভার ক্লিনিক খোলার নির্দেশ

করোনার নয়া প্রজাতি চিহ্নিত হয়েছে। সম্প্রতি কেরলে করোনায় একজনের মৃত্যুও হয়েছে। রাজ্যেও মারা গিয়েছেন একজন।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর  শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:২৭
Share: Save:

ফের রাজ্যে করোনার ছায়া। করোনা মোকাবিলায় সরকারি হাসপাতালগুলিকে তাই বিশেষ ‘ক্লিনিক’ তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেইমত জেলার হাসপাতালগুলিতে প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে।

যদিও অনেক ক্ষেত্রেই ডেঙ্গির মোকাবিলার জন্য যে ‘ফিবার ক্লিনিক’ তৈরি করা হয়েছিল, সেই পরিকাঠামোই ব্যবহার করা হবে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। করোনা মোকাবিলার জন্য যে ক্নিনিক তৈরির কথা বলা হয়েছে তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘রেসপিরেটরি ডিসট্রেস ক্লিনিক’।

প্রতিটা সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দ্রুত এই ক্নিনিকগুলি খুলে পরিষেবা দেওয়ার কথা বলে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য ভবন থেকে এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে ‘সারি’ বা তীব্র শ্বাসকষ্টে ভোগা রোগীদের উপর বিশেষ নজর রাখতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে তাঁদের জন্য সিসিইউ পরিষেবা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য কর্তারা জানিয়েছেন।

করোনার নয়া প্রজাতি চিহ্নিত হয়েছে। সম্প্রতি কেরলে করোনায় একজনের মৃত্যুও হয়েছে। রাজ্যেও মারা গিয়েছেন একজন। কেরলের পাশাপাশি তামলিনাড়ু-সহ একাধিক জায়গায় করোনার নতুন প্রজাতির সন্ধান মিলেছে। কেন্দ্রের তরফে নতুন করে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। আগেই জেলাগুলিকে রাজ্যের তরফে করোনা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকার কথা বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সামাজিক দূরত্ব রক্ষার পাশাপাশি ‘ইন্টিগ্রেটেড হেলথ ইনফরমেশন প্ল্যাটফর্ম’ পোটালে তথ্য পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় অসুস্থতা ও তীব্র শ্বাসকষ্টের অসুস্থতা(সারি) নিয়ে আসা রোগীদের উপর আরও বেশি নজরদারি ও পর্যবেক্ষণের কথা বলা হয়েছে। সেই সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য রাজ্যেকে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জেলায় পর্যাপ্ত আরটিপিসিআর ও র‌্যাপিড পরীক্ষার কিট মজুত রাখতে বলা হয়েছে। যাতে প্রয়োজনে দ্রুত করোনার নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হয়। আরটিপিসিআর পরীক্ষার উপর উপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর জন্য পজিটিভ নমুনাগুলি সংশ্লিষ্ট ল্যাবরেটরিতে পাঠাতে বলা হয়েছে। সেইমত জেলায় প্রায় ৬ হাজার আরটিপিসিআর ও প্রায় ৮ হাজার র‌্যাপিড কিট মজুত রাখা হয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের সুপার জয়ন্ত সরকার বলেন, “আমরা ডেঙ্গির মতোই কোভিডের ক্ষেত্রেও সাতদিনই ২৪ ঘণ্টা ক্লিনিক খুলে রাখা হবে। কোভিড সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা সবরকম ভাবে তৈরি।”

ক্নিনিকের পাশাপাশি তীব্র শ্বাসকষ্টে ভোগা রোগীদের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে সিসিইউ-র ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতিষচন্দ্র দাস বলেন, “হাসপাতাললিতে দ্রুত ফিবার ক্লিনিক চালু করতে বলা হয়েছে। অন্যান্য পরিকাঠামোও তৈরি রাখা হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Krishnanagar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE