ডোমকলে ফিরাদ হাকিম। ছবি সাফিউল্লা ইসলাম
পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে জেলায় রোজই শাসক দলের কোনও না নেতা-মন্ত্রী আসছেন। সোমবার ডোমকলে সভা ছিল মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের। তিনি সভায় দাবি করেন, ‘‘সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস এক হয়ে এখন ভোট লুটের গল্প ফাঁদছে। আসলে নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা। যদি ভোট লুট হয়ে থাকে, তা হলে বিধানসভায় হাজার হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার পরেও কী করে তৃণমূল এতগুলো আসন পেল। কী করে ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুল জিতলেন।’’
সোমবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যেই ডোমকল থানার হরিশঙ্করপুর হাই স্কুলের ফুটবল মাঠে নির্বাচনী সভা করতে এসে বিরোধীদের ভোট লুটের দাবিকে এ ভাবেই খারিজ করল রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আর সেই সঙ্গে খুন সন্ত্রাস ও বোমাবাজি নিয়ে বলতে গিয়ে তার দাবি, ‘‘এখানে কংগ্রেসের জামানায়, বাম জমানায় শয়ে শয়ে মানুষ খুন হয়েছেন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। কিন্তু জাফিকুলের ভোটে কতজন খুন হয়েছে?’’ বাম ও কংগ্রেস অবশ্য ফিরহাদের এই দাবি অস্বীকার করেছে।
ফিরহাদের বক্তব্য, ‘‘যতই কেন্দ্রীয় বাহিনী আসুক জয় আমাদের নিশ্চিত। তা হলে আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন, কেন ভোট প্রচারে এসেছেন? আমরা খুনের রাজনীতির বিরুদ্ধে বলতে এসেছি। আমাদের মা-বাবা খুন করার জন্য বা খুন হওয়ার জন্য আমাদের জন্ম দেয়নি। তাঁরা আমাদের জন্ম দিয়েছেন মানুষের কাজ করার জন্য। গোটা রাজ্যে মাত্র পাঁচটা ব্লকে কিছুটা গন্ডগোল হয়েছে। কোথাও সিপিএম করেছে, কোথাও কংগ্রেস, বিজেপি। আর কোথাও কোথাও আমাদের কিছু গাধা সামান্য গন্ডগোল করেছে। আর তাতেই সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপির জোট হইহই রইরই করে উঠছে। কথায় কথায় কোর্টে দৌড়চ্ছে। যত যাই করুন, বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ভোট দেবেন। তবে আমাদের কাছে ভয় একটাই, সিপিএম কংগ্রেস বিজেপির দালালি করছে। ওরা যদি ভোট ভাগ করতে পারে তা হলে বিজেপি সুযোগ নেবে। এ রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি দুর্বল হয়, সিপিএম কংগ্রেস ক্ষমতায় আসবে? বলুন কে ক্ষমতায় আসবে? ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।’’
ফিরহাদের দাবি, "বর্ডার দিয়ে যদি মশলা আসে সে দায়িত্ব কার? বর্ডার তো দেখে কেন্দ্রীয় সরকারের বিএসএফ। সীমান্ত সেনা ও বিএসএফ নিয়ন্ত্রণ করে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy