প্রতীকী ছবি।
ফের ডাক্তার নিগ্রহের ঘটনা ঘটল মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। মঙ্গলবার দুপুরে বহির্বিভাগের দোতলায় রোগী দেখার সময়ে তিন জন যুবক চক্ষু বিশেষজ্ঞ অংশুমান দাসকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এ দিন রাত পর্যন্ত পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁড পায়নি। গত মঙ্গলবার রাতে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে এক রোগী মৃত্যুর ঘটনার জেরে রোগীর বাড়ির লোকজন এক জুনিয়র ডাক্তারকে মারধর করে। তার পরে ২০০-২৫০ জন জুনিয়র ডাক্তার ও মেডিক্যালের ছাত্ররা লাঠি-বাঁশ-উইকেট হাতে রোগীর বাড়ির লোকজনকে পাল্টা মার দেয়।
অংশুমান দাস জানান, তিন জন যুবক এসে খেলতে যাওয়ার জন্য চোখের ফিট সার্টিফিকেট লিখে দেওয়ার কথা জানায়। কিন্তু সরকারি নিয়ম মেনে ওই সার্টিফিকেট নিতে হলে কিছু প্রয়োজনীয় নথিপত্র দেখানোর কথা বলেন ওই চিকিৎসক। কিন্তু তারা দেখাতে পারেনি। কিন্তু ওই ফিট সার্টিফিকেট নিতে হলে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপারের অনুমতিপত্র অথবা যে সংস্থা ফিট সার্টিফিকেট দাখিল করার কথা বলেছে, সেই সংস্থার নথি প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘‘তারা কিছুই দেখাতে পারেনি। সেক্ষেত্রে আমার পক্ষে ওই সার্টিফিকেট দেওয়া সম্ভব নয় বলে আমি তাঁদের জানাই।’’
তখনকার মতো ওই যুবকরা চলে গেলেও কিছু ক্ষণ পরেই জনা দশেক যুবককে মিলে ঘরে ঢুকে বেধড়ক মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ।
জেলাশাসক পি উলগানাথন জানান, ডাক্তার নিগ্রহের ঘটনায় পুলিশকে দ্রুত পদক্ষেপ করার কথা জানানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সিসি ক্যামেরায় তিন জন যুবকের ছবি ধরা পড়েছে। ওই ফুটেজ দেখে যুবকদের তল্লাশি চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy