Advertisement
E-Paper

নাবালিকাকে বিয়ের জন্য চাপ মামার, অবসাদে আত্মহত্যার চেষ্টা ভাগ্নির, ২৮ দিন পর মৃত্যু, বিক্ষোভ

মামার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল নাবালিকা। মামা তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু নাবালিকা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিল বলে বাড়ির লোকেদের দাবি। তার পরেই বিষ পান এবং মৃত্যু।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৪ ১৩:৪৭
— Representative Image

— প্রতীকী চিত্র।

নাবালিকা ভাগ্নির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন মামা। অভিযোগ, স্ত্রী, সন্তান নিয়ে ভরা পরিবার থাকা সত্ত্বেও ভাগ্নিকে দ্বিতীয় বিয়ের জন্য জোর করতে থাকেন সম্পর্কে মামা। কিন্তু মামার সঙ্গে বিয়েতে রাজি ছিল না নাবালিকা। বিয়ের জন্য চাপ দিলে অবসাদে অ্যাসিড খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে। ২৮ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর মৃত্যু হয়েছে মুর্শিদাবাদের ডোমকল থানা এলাকার ফতেপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই নাবালিকার। অভিযুক্ত মামার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে দেহ ঘিরে বিক্ষোভও দেখান স্থানীয়রা।

মৃত নাবালিকার পরিবার সূত্রে খবর, জুলফিকার শেখ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বছর দুয়েক আগে বিবাহ বহির্ভূত গড়ে ওঠে নাবালিকার। জুলফিকার আবার সম্পর্কে নাবালিকার মামা। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, জুলফিকার বিবাহিত এবং এক সন্তানের বাবা। তা সত্ত্বেও ওই নাবালিকাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতেন। এই ঘটনার কথা নাবালিকার পরিবার প্রথমে জানতে পারেনি। সম্পর্কের কথা জানাজানি হওয়ার পর অন্যত্র নাবালিকার বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে তার পরিবার। অভিযোগ, জুলফিকার সেই সম্বন্ধ ভেস্তে দেন।

স্থানীয় সূত্রে খবর, নাবালিকা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছিল। তা নিয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি জুলফিকারের সঙ্গে তার অশান্তিও হয়। সে দিনই অ্যাসিড খায় নাবালিকা। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে তাকে ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এবং তার পর মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় নাবালিকাকে। ২৮ দিন এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন থাকার পর চার দিন আগে কিছুটা সুস্থ হয়ে ডোমকলের বাড়িতে ফিরে আসে ওই নাবালিকা। কিন্তু বাড়ি ফিরে আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে মঙ্গলবার তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার। এর পরেই অভিযুক্ত মামার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে নাবালিকার দেহ পথে রেখে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।

নাবালিকার এক আত্মীয় বলেন, ‘‘আমরা জানার পরে অন্যত্র ওর বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। সেই বিয়ে ভেস্তে দেয় জুলফিকার। লজ্জায় কাউকে কিছু বলতে পারিনি। মেয়ের উপর প্রচণ্ড চাপ তৈরি করত বিয়ের জন্য। কিন্তু মেয়ে তা চাইত না। অপমানে আর অবসাদে আত্মহত্যা করেছে আমার মেয়ে। ওকে ভাই বলতে ঘেন্না করে।’’

police Death
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy