রানাঘাট পুলিশের ডিএসপি (সীমান্ত) সোমনাথ ঝা। —নিজস্ব চিত্র।
কল্যাণী এমসে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ! ফাঁদ পেতে অনলাইনে টাকা হাতানোর অভিযোগ। এই চক্রের মূল পাণ্ডাকে রানাঘাট থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার তাঁকে রানাঘাট আদালতে হাজির করানো হয়। ধৃতকে আট দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন রানাঘাটের অতিরিক্ত বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন, তাঁদের মোবাইলে একটা ছোট মেসেজ এসেছিল— ‘কল্যাণী এমসে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ চলছে। অনলাইন পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। আবেদনের জন্য লিঙ্কে ক্লিক করুন।’ সেই লিঙ্কে ক্লিক করলে প্রথমে খোয়া যেত ১,২৫০ টাকা। আবেদনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মোবাইলে চলে আসত পরীক্ষার লিঙ্ক। নাম নথিভুক্ত করার জন্য আদায় করা হত আরও ১২,৬০০ টাকা। নিয়োগপত্রও পাঠানো হত। অভিযোগ, সেই নিয়োগপত্র নিয়ে এমসের কাজে যোগ দিতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, পুরোটাই ‘ফাঁদ’। প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে বেশ কয়েক জনের নামে নদিয়ার হাঁসখালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এক জন। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে মঙ্গলবার রানাঘাট থেকে বলরাম দাস নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ৯ তারিখে নদিয়ার হাঁসখালি থানায় এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন। জানান, কল্যাণীর এমসে চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁর কাছ থেকে মোট ১২,৬০০ টাকা হাতিয়ে নেন কয়েক জন। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে রানাঘাট এলাকায় মূল অভিযুক্তের খোঁজ পান তদন্তকারীরা। বলরামকে গ্রেফতার করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে রানাঘাট আদালতে হাজির করানো হয়।
রানাঘাট পুলিশের ডিএসপি (সীমান্ত) সোমনাথ ঝা বলেন, ‘‘একটি লিখিত অভিযোগের তদন্তে নেমে বেশ কিছু ফোন কল, অনলাইনে আর্থিক লেনদেন খতিয়ে দেখা শুরু হয়। তদন্ত চলাকালীন খোঁজ মেলে বলরাম দাসের। তাঁকে গ্রেফতার করে আমরা হেফাজতে নিয়েছি। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত তথ্য উদ্ধারে চেষ্টা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy