সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রিতে বরাবরই ফড়েরাজের অভিযোগ তোলেন কৃষকেরা। তাঁদের অভিযোগ, সরকারি নজরদারির ফাঁক ফোকর গলে ফড়েরা ধান বিক্রি করে দেয়। যার জেরে ধান বিক্রি করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন কৃষকেরা। এই পরিস্থিতিতে সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রিতে ফড়েরাজ রুখতে জেলায় জেলায় একগুচ্ছ নির্দেশিকা পাঠিয়েছে রাজ্যের খাদ্য দফতর।
কী নির্দেশিকা রয়েছে? কৃষক বন্ধু প্রকল্পে নথিভুক্ত কৃষকেরা মরসুমে সর্বনিম্ন ৩০ কুইন্টাল এবং জমির আয়তন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৯০ কুইন্টাল ধান বিক্রি করতে পারবেন। যাঁদের নাম কৃষকবন্ধু প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত নেই তাঁরা ঘোষণাপত্র দিয়ে বর্গাদার চাষি হিসেবে ধান বিক্রি করতে পারবেন। তবে তাঁরা মরসুমে ২০ কুইন্টালের বেশি ধান বিক্রি করতে পারবেন না। সেই সঙ্গে ধান বিক্রি করতে এবারে কৃষকদের আঙুলের বায়োমেট্রিক ছাপ দিতে হবে।
এ জন্য নথিভুক্ত কৃষকদের খাদ্য দফতরের পোর্টালে ঢুকে নিজেদের তথ্য যাচাই করে তা আপডেট করার কথা বলা হয়েছে।
যদি কৃষকবন্ধু পোর্টালে নাম থাকে তবে তাঁদের ঘোষণাপত্র দিতে হবে না।
আর যাঁদের নাম কৃষকবন্ধু পোর্টালে নাম নেই তাঁরা ঘোষণাপত্র দিতে পারেন, বা কৃষক বন্ধু পোর্টালে নাম তুলতে পারেন। একইভাবে যাঁরা ধান বিক্রির জন্য নতুনভাবে নাম নথিভুক্ত করবেন তাঁদের নাম কৃষকবন্ধু প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত থাকলে সর্বোচ্চ ৯০ কুইন্টাল বিক্রি করতে পারবেন।
কৃষকদের অনেকেরই এই ধরনের প্রযুক্তিগত জ্ঞান যেমন কম রয়েছে, তেমনই গ্রামীণ এলাকায় প্রযুক্তির অপ্রতুলতাও রয়েছে।
তবে জেলা খাদ্য আধিকারিক সুদীপ্ত ভৌমিক বলেন, ‘‘জেলায় ৩৭টি কেন্দ্রীয় ধান ক্রয় কেন্দ্র রয়েছে। এ ছাড়া বাংলা সহায়তা কেন্দ্র রয়েছে। সে সব জায়গায় গিয়ে নথিভুক্ত কৃষকেরা কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় আছেন কিনা দেখে তাঁদের স্ট্যাটাস আপডেট করবেন। এছাড়া যাঁদের নাম নথিভুক্ত নেই তাঁরাও সেখানে নাম নথিভুক্ত করতে পারেন। নিজের মোবাইল থেকে নাম নথিভুকরণ করতে পারেন।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)