Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Krishnanagar

দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে জল জমার শঙ্কা, প্রস্তুত পুরসভা

নবদ্বীপের যে সব নিচু এলাকায় একটু বৃষ্টিতেই জল জমে যায়, এবারের নিম্নচাপে সেই সব এলাকায় জল জমে থাকতে দেখা যায়নি।

কল্যাণী ব্লকের চান্দুরিয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের নিচু জায়গায় ভাগীরথী নদীর জল প্রবেশ করছে। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র

কল্যাণী ব্লকের চান্দুরিয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের নিচু জায়গায় ভাগীরথী নদীর জল প্রবেশ করছে। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২০ ০২:৩৫
Share: Save:

দু’দিন ধরে নিম্নচাপের কারণে টানা বৃষ্টি হলেও এখনও পর্যন্ত রাস্তাঘাটে সে ভাবে জল জমতে দেখা যায়নি। তবে জেলার শহরগুলিতে যে সব নিচু এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই জল জমে যায়, সেই সব এলাকায় কিছুটা হলেও জল জমতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু সেই জল এবারে বেশি ক্ষণ জমে থাকেনি বলেই স্থানীয়দের দাবি। কিন্তু এই ভাবে বৃষ্টি আরও দু’-এক দিন জারি থাকলে শহরে জল দাঁড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পুরকর্মীরা।

বৃহস্পতি, শুক্র দু’দিন ধরেই আকাশের মুখ ভার। কখনও ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি হচ্ছে, কখনও আবার ঝিরঝিরে বৃষ্টি। এবারের বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় সে ভাবে জল জমে থাকতে দেখা যায়নি বলেই পুরকর্তাদের দাবি। তবে কৃষ্ণনগর শহরের ঘূর্ণির বেশ কিছু নিচু এলাকার রাস্তায় জল জমতে দেখা গিয়েছে। যদিও সেটা খুব বেশি নয় বলেই জানাচ্ছেন এলাকার মানুষজন। পাশাপাশি, একই অবস্থা দেখা গিয়েছে নবদ্বীপ শহরেও। সেখানে বৃষ্টি ধরেও সে ভাবে জল জমেনি। বিশেষ করে, নবদ্বীপের যে সব নিচু এলাকায় একটু বৃষ্টিতেই জল জমে যায়, এবারের নিম্নচাপে সেই সব এলাকায় জল জমে থাকতে দেখা যায়নি। একই ছবি দেখা গিয়েছে শান্তিপুর পুরসভা এলাকাতেও। সেখানেও রাস্তায় জল জমতে দেখা যায়নি এই বৃষ্টিতে।

আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কম-বেশি বৃষ্টিপাত হলেও এ দিন গভীর রাতে বেশ ভারী রকমের বৃষ্টিপাত হয়েছে জেলার প্রায় সর্বত্র। তবে সেই জল জমে থাকেনি। অনেকেই বলছেন, আসলে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তাতে এলাকায় জল জমে থাকার কথাও না। তার উপরে পুরসভাগুলিতে আগের চেয়ে হাইড্রেনগুলি অনেক বেশি উন্নত করা হয়েছে। উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পাম্পের সংখ্যাও আগের তুলনায় বেড়েছে। ফলে, বৃষ্টিতে কোথাও জল জমলেও তা দ্রুত বের করে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। যে কারণে কৃষ্ণনগর বা নবদ্বীপের মতো রানাঘাট, চাকদহ বা কল্যাণী এলাকায় সে ভাবে এবারের বৃষ্টিতে জল জমে থাকতে দেখা যায়নি।

তবে তার মধ্যেই জেলার ভাগীরথী নদী তীরবর্তী বেশ কিছু নিচু এলাকায় বৃষ্টিতে জল জমতে শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। বিশেষ করে, সান্যালচর, সরাটি এলাকায় জল জমেছে। পাশাপাশি, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ও বিভিন্ন জায়গার রাজ্য সড়কের গর্তগুলিতেও বৃষ্টির জল জমে খারাপ অবস্থা হয়ে রয়েছে।

এই এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা বলছেন, “পর পর দু’দিন লকডাউন থাকার কারণে যানবাহন চলাচল করছে না। এটাই যা রক্ষে! না হলে কিন্তু ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটতেই পারত।”

শুক্রবার পর্যন্ত সে ভাবে জল জমতে দেখা না গেলেও এই রকমের বৃষ্টিপাত যদি টানা চলতে থাকে, তা হলে পরিস্থিতি পাল্টে যাবে বলেই ধারণা। এই দু’দিনের বৃষ্টিতে শহরের নর্দমাগুলি জলে ভরে গিয়েছে। এর পরেও বৃষ্টিপাত চলতে থাকলে বৃষ্টির জল বহন করার মতো ক্ষমতায় থাকবে না নর্দমাগুলি। সেই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পুরসভাগুলি ইতিমধ্যে প্রস্তুতি নিতেও শুরু করেছে। উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন জলনিকাশি পাম্পগুলিকে তৈরি রাখা হচ্ছে বলে পুরসভার কর্তাদের দাবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Rain Monsoon Drainage Krishnanagar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE