পুর ভবনের ভিতরেই চলছে সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত।
কংগ্রেসের বিক্ষোভ মিছিল এবং তৃণমূলের পাল্টা মিছিলকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল বহরমপুর পুরসভা। দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল হাতাহাতি, সংঘর্ষের সাক্ষী থাকল পুরসভা ভবন। বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে পুরসভা চত্বর শান্ত হয়ে এলেও শহরের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে গোলমালের আঁচ। কংগ্রেসের অফিসে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
দীর্ঘ দিন কংগ্রেসের দখলে থাকা বহরমপুর পুরসভার বোর্ড কিছু দিন আগেই তৃণমূল দখল করে নিয়েছে। পুরপ্রধান নীলরতন আঢ্য কাউন্সিলরদের নিয়ে সদলবলে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জেরেই বোর্ড এখন তৃণমূলের। পুরসভার বিরুদ্ধে দুর্নীতি-সহ একাধিক ইস্যুতে বৃহস্পতিবার পুর ভবন চত্বরে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। তার পর চেয়ারম্যানের কাছে ডেপুটেশন দিতে যাওয়ার জন্য মিছিল করে কংগ্রেস কর্মীরা পুর ভবনে ঢোকেন। তখনই গোলমাল শুরু হয়। বহরমপুর টাউন তৃণমূলের সভাপতির নেতৃত্বে পুরসভার তৃণমূল প্রভাবিত কর্মীরা কংগ্রেসের মিছিলের মুখোমুখি হন এবং দু’পক্ষে বচসা বাধে। বচসা থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত।
আরও পড়ুন: মিছিলের ভিড়েই ডাক ‘নবান্ন চলো’
শাসক দলের অভিযোগ, টাউন তৃণমূলের সভাপতি নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়কে মেরে তাঁর জামা ছিড়ে দেন কংগ্রেস কর্মীরা। অন্য দিকে বহরমপুরের বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তীর দাবি, কংগ্রেস হামলা করেনি, কংগ্রেসের উপরেই হামলা হয়েছে। জেলা কংগ্রেস সভাপতি মান্নান হোসেনের ছেলে তথা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সৌমিক হোসেনের পাঠানো গুণ্ডা বাহিনী বাঁশ, লাঠি নিয়ে কংগ্রেস কর্মীদের উপর চড়াও হয় বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। পুরসভায় গোলমালের খবর পেয়েই বড়সড় পুলিশ বাহিনী পৌঁছয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু এর পর তৃণমূল বহরমপুর শহরে বিক্ষোভ মিছিল বার করে। সেই মিছিল থেকে জেলা কংগ্রেস অফিসে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান নীলরতন আঢ্য কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচ কংগ্রেস কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy